পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বতমান যুগ ও ভবিষ্যতের ইঙ্গিত 心为 উজজবল করিয়াছেন। অন্যান্য প্রবন্ধকারগণের মধ্যে ত্রৈলোক্য গোস্বামী, উমাকান্ত শমা, তাঁথনাথ শমা, মহেশবর নিওগ, প্রফুল্লদত্ত গোস্বামী প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য। নলিনীবালা দেবীর মতিতীথ ও কাশীনাথ বমণের নারীরত্ন আধুনিক অসমীয়া জীবনী-সাহিত্যের দরখানি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। শিশু সাহিত্যে গ্রীচ দেশর সাধন, ডেভিড কোপারফিল্ড, মাণিকী-মধুরীর নাম করা যাইতে পারে। রসসাহিত্যে শ্রীযক্ত হরিপ্রসাদ বরয়ো ও শ্রীপীতাম্ববররাজ মেধির নামও উল্লেখযোগ্য। শ্রীযন্ত কেশবনারায়ণ দত্ত ঐতিহাসিক প্রবন্ধে ও শ্রীজিতেন্দ্রনাথ দত্ত সামাজিক প্রবন্ধে অসমীয়া সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করিয়াছেন। এই একশো বছরের ইতিহাসে অসমীয়া সাহিত্যে তিনটি বিশিষ্ট প্রভাব পড়িয়াছে। প্রথমতঃ ইংরেজীর মাধ্যমে ইউরোপীয় সাহিত্য দশন ও বিজ্ঞানের প্রভাব পড়িয়াছে, বিশেষ করিয়া মিশনরীদের কল্যাণে ও সাহায্যে। দ্বিতীয়তঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য উনবিংশ শতাব্দীর ভারতবষে এক নব জাগতির সচনা করে। বাঙালীরা মহাভারতের কথাই শনাইয়াছিলেন—ভারতবর্ষের দিকে দিকে সামাজিক প্রয়োজন ও সমসাময়িক উত্তেজনার উধের্ব উঠিয়া। অপরের লাঞ্ছনা ও অবজ্ঞা হইতে, ক্ষুধার নিমমতা হইতে, কুশিক্ষার অন্ধকার হইতে ভারত-ইতিহাসের চিরলক্ষীকে তাহারা বরণ করিয়াছিলেন শুধু নিজের গোঠে ও গহে নয়, প্রতিবেশী প্রদেশেও। ভুল ভ্রান্তি অহমিকা তুচ্ছতা ক্ষুদ্রতা হয়তো ছিল, কিন্তু সাংস্কৃতিক এই চেতনাকে উদ্বন্ধে করা বাংলার উনবিংশ শতাব্দীর অঘর্ণ ভারতমাতার পাদপদ্মে। রাজা রামমোহন হইতে রবীন্দ্রনাথ শ্রীঅরবিন্দ বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ বঙ্কিম শরৎ ভারতের অন্য প্রদেশকে সাহিত্যে দশনে চিন্তায় মৌলিক গবেষণায়, সামাজিক সংস্কারে প্রবন্ধ করিয়াছিলেন। ইহার তরঙ্গ আসামে প্রবেশ করিবে, ইহা যেমন অস্বাভাবিক নয় তেমনি অযৌক্তিকও নয়। তৃতীয়তঃ ইংরেজি শিক্ষা ও প্রসারের সঙ্গেসঙ্গে গবেষণা-বিচার-বিতকের মধ্য দিয়া নিজেদের প্রাচীন সংস্কৃতির প্রতি একটা গভীর মমত্ববোধ জাগিয়া উঠিল। নতন করিয়া বৈষ্ণব মহাপরেষেদের কথা ও কাহিনী, সাহিত্য ও দশন শিক্ষিত মনে নতন ভাব ও চিন্তার ধারা সৃষ্টি করিল, সাহিত্যে তাহার প্রকাশ পাইল । বতমান অসমীয়া সাহিত্যের গতি এই ত্রিধারার ত্রিবেণীসংগমে, এ কথা বলিলে _T হয় না। ১৯৩৯ সালে অনুষ্ঠিত অসম সাহিত্য সম্মেলনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতির উক্তি উদ্ধত করিয়া দিতেছি। পরবতী বারো বছরের যুগান্তকারী ইতিহাসের আলোড়ন সমস্ত জগতের সব সাহিত্যকে প্রভাবান্বিত করলেও মোটামটি তিনি তখন যাহা বলিয়াছিলেন আজও তাই প্রযজ aপশ্চিমীয়া লিখা আমার দেশলৈ নিজরি আহে ঘাইকৈ ইংরাজী ভাষায় জরিয়তে। কাজেই নতুন ধরণর এই লিখাই প্রতিভাবান বাঙ্গালী লিখক সকলকো উবন্ধ করিলে। আমার দেশত প্রভাব আছে বঙলারো, ইংরাজীরো।” অর্থাৎ ইংরাজী ভাষার মাধ্যমেই পশ্চিম দেশীয় লেখার সহিত আমার দেশের পরিচয়। প্রতিভাবান বাঙালী লেখকরাই এই নতুন ধরনের লেখায় সকলকে উদ্বন্ধ করিয়াছিলেন। তিনি একটি উদাহরণ দেন-গল্প নামটি লওয়া হইয়াছে বাংলা দেশ হইতে, কিন্তু সকলের সমন্বয়ে ইহার সন্টি কিছু মান গল্পর ধরণ অবশ্যে অলপ পরণি । অন্য (;