পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশলতিকার সন্ধানে ՏՏ Գ সেদিন । পড়ে মনটা বড় ব্যাকুল হল জন্মভূমি দেখবার জন্যে। সে সব চিঠিতে আপনার নাম আছে, আমার এক পিসিমার নাম আছে । আমি বাবাকে কখনো দেখিনি, তার সম্বন্ধে, আমার ঠাকুরদার সম্বন্ধে-আরও অনেক নাম আছে বাবার এক পুবানো খাতার মধ্যে-সকলের সম্বন্ধে আমাব জানিবার বড় ইচ্ছে হোল । আমি জ্ঞান হয়ে পর্য্যন্ত মামার বাড়ীর সকলকে দেখে আসচি, বাপের বাড়ীর বা নিজের বংশের কিছু খবর রাখি নে। সেই সব খুঁজে পেতে বার করবো বলেই «Հյթի ձ[ ] -ওমা আমার কি হবে । কোথাকার পাগল ছেলে দ্যাখে —না সই মা, আপনি ভেবে দেখুন আমার মনের অবস্থা । আমার ছাব্বিশ বছর বযস হয়েচে কিন্তু এ পর্য্যন্ত আমাদের বংশের কোনো খবর রাখি নে । বাপেব বাডীর কোন লোকের কথা জানি নে । অথচ আমার ভয়ানক ইচ্ছে জানিবার। আপনি হয়তো ভাববেন এ আবার কি, আমাব কিন্তু সাইম ঘুম হয় না। এই সব ভেবে-সত্যি বলচি-আপনি আমায় বলে দিন কি ভাবে আমি তা করতে পারি।--আমি তো কাউকে চিনি নৌ-বাংলাদেশের ছেলে, কিন্তু কোনো খবর রাখি নে দেশের । - সব বলে দেবো, এখন খেয়ে শুযে পডো দিকি দুষ্ট ছেলে আমাব ! নীরেন হাসিল। অনেকদিন পবে যেন হারানো মাকে ফিরিয়া পাইয়াছে, সেই ধরনের হাসি সাইমাব মুখে। ভাগ্যিস সে আসিযাছিল। শ্যামল বাংলা মা যেন সাইমার মূর্ত্তিতে তাহাকে সমেহ অভ্যর্থনা জানাইতেছেন। চৈত্র মাসের বাত্রি । হু হু দক্ষিণ হাওয়া খোলা জানাল দিয়া বাহিতেছে । কি একটা ফুলের তীব্র সুবাস বাতাসে । নীরেন বাংলাদেশের অনেক কিছু গাছপালা চিনে না-কিন্তু তাহার কি ভাল লাগে এই সব পল্লীগ্রামের আগাছা জঙ্গল ! আজি দুদিন তিন দিন মাত্র ইহাদের সহিত পরিচয়-তবুও যেন মনে হয়