পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশলতিকার সন্ধানে Σ Σδ তারপর লেখা আছে, “আজ রামলোচন রায়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রী উহাদের আমবাগানে হারাধন মুস্তাফির সহিত ধরা পড়িলেন। ইহা লইয়া আজ জ্যাঠামশায়দের চণ্ডীমণ্ডপে সারাদিন ডামাডোল চলিতেছে। রামলোচনের স্ত্রী বলিয়াছেন তিনি নিদৃষি। আমেব গুটি ঝড়ে পড়িতেছে, তাহাই কুড়াইতে গিয়াছিলেন, হারাধন মুস্তাফির কথা কিছু জানেন না। আজ রামলোচন রায়ের স্ত্রীকে দেখিয়াছি। বয়স হইলেও চাহিয়া থাকিতে ইচ্ছা কবে। খুব সুন্দরী। বুমোরের বৌ ইহার কাছে দাডাইতে পারে না।”- নীরেন এই ডায়েরিটুকু পডিয়া কতবার মনে মনে হাসিয়াছে। পিতামহ গদাধর মুখুয্যে বহুকাল সাধনোচিত ধামেই সম্ভবত প্রস্থান করিয়াছেন, নীরেনের মায়ের বিবাহ তখনও হয় নাই। সে পিতামহের কার্য্যের সমালোচনা করিতেছে না, তবুও মনে হয় এই বুম্ভকাব বাধুটির এইখানে উল্লেখ থাকার কারণ কি ? বিশেষ করিয়া ঠাকুরদাদা ইহারই নাম করিলেন কেন ? গ্রামের সুন্দরী শ্রেষ্ঠা বলিয়া ? না হায্য রে সে ১২৭২ সাল ! আজি রামলোচন রায়ের নিরপরাধা সুন্দরী পত্নী যিনি নির্জন দুপুরে বাগানে আমের গুটি কুড়াইতে গিয়া হারাধন মুস্তাফির সঙ্গে নিজের নাম যোগ করিবার সুযোগ দিয়া মিথ্যা কলঙ্ক কুড়াইয়াছিলেন একদিন প্রায় আশি বৎসর পূর্বের এক সুমধুব কোকিলামুখবিত, পুষ্পম্বাসামোদিত, প্রেমোচ্ছল বসন্তদিনে—কোথায় তিনি আর কোথায় তাহার রূপের প্রতিদ্বন্দ্বী সোনা বুম্ভকারের রূপসী বধু ? আজি এই সব পল্লীগ্রামের মাটিতে র্তাহাদের নাম নিশ্চিহ্ন হইয়া মুছিয়াই যাইত যদি না তাহার পরোপকারী পিতামহ গদাধর মুখুয্যে এত ঘটা করিয়া উক্ত বধূদ্বয়ের ইতিহাস র্তাহার ডায়েরিতে নিঃস্বার্থ ভাবে • विथिबा द्रथिङन ! ১৮ হাসি পাইবার কথাই তো । নীরেন ডায়েরি বন্ধ করিয়া শুইয়া পড়িল, কিন্তু আজ রাত্রে তাহার বংশের