পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশলতিকার সন্ধানে SSS -একবার সই। আর আমি নাইতে গিয়েচি ঘাটে । সঁতার দিয়ে দুই সই মিলে নদীর মাঝখানে গিয়েচি । এমন সময় ঘাট থেকে কে চেচিয়ে বলে নদীতে কুমীর এসেচে। আমরা তো তাডা ৩াডি ঘাটের দিকে এগুচ্ছি, এমন সময় সাইকে আমি ভয়ে জড়িযে ধরলাম। সই যত বলে ছাড়ো ছাড়ো দুজনেই ডুবে যাবো, আমি ততই ভয়ে সইকে জড়াই । নীরেন। রুদ্ধ নিশ্বাসে বলিল-তারপর ? --তারপর আর কি ? দু জনেই বেঁচে উঠলাম, একখানা নৌকো আমাদের ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে ছুটে এল । -তখন আপনারা একগ্রামেই থাকতেন ? -হঁাবে, নইলে আর সই বলবো কি করে। পাগল ছেলে আর কি ! কথাটা নীরেন সন্ধ্যাবেল তাহাব খাতায় লিখিয়া রাখে । গ্রাম্য জীবনের কোন কথা সে বাদ দিতে চায় না । মরুপর্বত ভেদ কবিয়া সুদূর পাঞ্জাব হইতে ছুটয়া আসা ( কোন কটাক্ষ কেহ করিবেন না।) তবে কিসের জন্য ? সাইমার শ্বশুরবাডী এটা । কিন্তু একটি দেওব্লপো ছাড এখানকার বাড়ীতে কেহ থাকে না। দুটি দেওর বাহিরে চাকুরী করে, সেখানেই পরিবার লইয়া থাকে ; যে দেওরপো এখানে আছে ওটি পিতৃমাতৃহীন অনাথ । জ্যাঠাইমার কাছে মানুষ হইতেছে। জ্যাঠাইমা ভালও বাসেন । দেওরপোর নাম কানু। কানু নীরেনকে খুব ভাল চোখে দেখে নাই । এই দুর্ম্ম ল্যের বাজারে ইনি আবার কোথা হইতে উড়িয়া আসিয়া জুড়িয়া বসিলেন!! কেন রে বাবা । যে তিন বিশ ধান হইয়াছিল, ইনি এখানে আসিলেন,-তাহাতে ক'দিন যান্য ? জ্যাঠাইমাও দেখিতেছি নীরু বলিতে অজ্ঞান । কানু আসিয়া বলিল-যাত্রা দেখতে যাবেন ?