পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRV অসাধারণ সম্বন্ধে শেয়ালদ’ স্টেশনের কর্ম্মচারীর সঙ্গে আলাপ হোলো । অন্য অন্য কথার পরে বেলা ন’টার সময়ে মিঃ ঘোষাল বল্লেন-ত হোলে আমি উঠি - কত টাকার দরকার ? —সতেরো হাজার তো ওদের পেমেণ্ট করতে হবে, আর পূজোর ব্যবস্থা --তাও তিন হাজার নেবে সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট, হাজার খানেক দিতে হবে উপদেবতাদের। মিসেস বর্ম্মণকে একটা প্রেজেণ্ট দিতে হবে ভাল দেখে । কি দেওয়া যায়, স্যার, আপনিই বলুন। -একটা জড়োয়ার কিছু দাও গিয়ে-হাজার খানেকের মধ্যে। বিশ হাজারের একটা চেক নিয়ে যাও -আজ্ঞে ভার, ব্যাঙ্কে টাকা ভাঙানোর আমার সুবিধে হবে না । একটায় আসাম মেল । তার আগে আমার অনেক কাজ। একবার আপিসে যেতে হবে। ডুয়ারের মধ্যে কাগজপত্র রয়েচে, নিয়ে যেতে হবে। গহনাই বা কিনবো কখন ? -আচ্ছা, গহনার জন্যে আমি সুরেশকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। বদ্রিদাসের বাড়ী । যদি কিছু ভালো থাকে দেখে আসুক। সেজন্যে তোমায় ভাবতে হবে না। তুমি এখান থেকে বাড়ী যাও—নেয়ে খেয়ে গাড়ী নিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে আগে চেক্‌ ভাঙাও । ওখান থেকে ইষ্টিশানে চলে যাও-গহনা যদি পাই সুরেশকে দিয়ে ট্রেনে পাঠাবো । মিসেস বর্ম্মণকে খুশি রাখা চাই মোটের ওপর। দেবতাকে তুষ্ট রাখতে হোলে দেবীর পূজো না দিলে হয় না। কমপিটিশনের বাজার, বুঝে কাজ করবে । ডাক এল। এক গাদা চিঠি। হাতে নিয়ে তাড়াতাড়ি একবার দেখে নিতে নিতে শিবশঙ্কর ডেকে বল্লেন-ও রিতুযা, নিয়ে যা-বড় বৌমার চিঠি, নিয়ে যা-সুলেখার-ছোট বৌমার-ওপরে দিগে যা! আর শোেন-বলে আয় আমি চান করবো এখুনি।