পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo অসাধারণ কতবার মনে ভাবিয়াছি ওই মেয়েটির কথা। ধান ভানিয়া রুগণ স্বামীর চিকিৎসা চালাইত। নৌকো ভাড়া করিয়া হাত ধরিয়া লইয়া আসিত ডাক্তারখানায়। চৈতন্যচরিতামৃতের কথা বলিত। তাহাদের আর পথে ঘাটে দেখি নাই অনেকদিন । সীতানাথ ডাক্তারকে একদিন জিজ্ঞাসা করিলাম। সীতানাথ বলিলেন-না, তারা অনেকদিন আসেনি। আর আসবে কি, এই তো কাণ্ড { ওষুধের দাম দিতে পারে না-ক'শিশি ওষুধের দাম এখনো বাকি। অনেকদিন উহাদের দেখি নাই। প্রায় ভুলিয়াই গিয়াছি। ভাদ্রমাসের দিকে আমাদের মহকুমার রিলিফ কমিটির যত্নে লঙ্গরখানা খুল হইল। সেখানে প্রত্যহ বহু দুঃস্থ নরনারী লঙ্গরখানার খিচুড়ি খাইতে আসিত। উহাদের মধ্যে একদিন আবার মেয়েটিকে দেখিলাম। একটা মালসায় করিয়া লঙ্গরখানার খিচুড়ি লইয়া কোথায় যাইতেছে। আমি ডাকিয়া বলিলাম-তুমি কোথায় এসেছিলে ? আমায় দেখিয়া সে লজ্জিত হইল। বলিল—এই— -তোমার স্বামী কোথায় ? —ওই পুরানো ডাকঘরের পেছনে বটতলায়। আজকাল হঁাটতি পারে না। cभां।ि - চলে দেখে আসি । কৌতুহল হইল দেখিবার জন্য, তাই গিয়াছিলাম। গিয়া মনে হইল না। আসিলে আমাকে বড় ঠকিতে হইত—কারণ যে দৃশ্য দেখিলাম, তাহা সচরাচর C5 C2 eft(V, || || পুরানো পোষ্টফিসের পিছনে যেখানে গবর্ণমেণ্টের কলেরা ওয়ার্ডের ঘর, তার সামনে বটতলায় এক ছেড়া চাটাই পাতিয়া বৌটির খোড়া স্বামী শুইয়া আছে। মনে হইল লোকটা চাটাইয়ের সঙ্গে মিশিয়া আছে এত রুগণ । মেয়েটি তার