পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমপিটিশন SOO ভোগ করে যাচ্ছেন শিবশঙ্কর ৷ এখনো হয় নি, লেক অঞ্চলে বড় একখানা বাড়ী করবার সখ তীর, কিন্তু পছন্দসই জমি পাচ্ছেন না । তেজপুরের কাজটা যদি হাতে এসে যায়, তবে নিৰ্ঘাত তিন লক্ষ ঘরে আসবে। হিসেব করে দেখা আছে তার। এই বছরের শেষেই টাকাটা হাতে আসতে পারে, যদি বিলের টাকা গভর্ণমেণ্ট এ বছরেই শোধ করে। পূজো দিলে শেষের ব্যবস্থা চাটুপটু হয়ে যাবে। শিবশঙ্করকে কাজ শেখাতে হবে না, ঘুঘু হয়ে বসে আছেন তিনি। অনেস্টি বলে জিনিস নেই। এ বাজারে। অনেস্টি একটা মুখের কথা মাত্র। কমপিটিশনের বাজার, অনেস্টিতে হয় না। টাকা • • •টাকা-চাই, টাকা । দুনিয়াতে টাকা ছাড়া আর কিছু নেই। টাকা যে পথে আসে। আসুক। টাকা রোজগারের এই তো সময়। যুদ্ধেব বাজারে যে যা করে নিতে পারে। কলকাতার হাওয়ায় টাকা উডচে• • • যার বুদ্ধি আছে ধরে নাও। কিছুই এখনো রোজগার করা হয় নি। অনেক কিছুই বাকী । কেবল একটা ব্যাপার শিবশঙ্করকে বড় চিন্তিত করে তুলেচে । বড় ছেলে বিমান প্রায়ই রাত্রে বাড়ী আসে না । নিজের আলাদা একখানা মোটর কিনোচে। নানা রকম কথা কানে গিয়েচে শিবশঙ্করের। ঠিক বুঝতে পারচেন না এখনও তিনি। বিমান এমন ছিল না। বড বৌমা প্রায়ই কঁাদেন, সুলেখার মুখে শুনতে পান। তিনি। গিন্নি কিছু বলেন না, এজন্যে গিন্ধিব ওপর শিবশঙ্কর সন্তুষ্ট নন। গিন্নির প্রশ্রয না পেলে বিমান এমন হোতে পারতো না । যত নির্বোধি নিয়ে হযোচে তার সংসার । টেলিফোন বেজে উঠে শিবশঙ্করের চিন্তাজাল ছিন্ন করে দিলে। -হ্যাঁ, কে ? ও আচ্ছা-বেশ, বেশ । তুমি চলেই এসে এখানে। দেরি द८: a || একটি সৌখীন বাবুমত লোক, চোখে সোনাবধানে চশমা, ঘরে ঢুকলো দশ মিনিট পরে। এই লোকটি ঘরে ঢোকবার পরে শিবশঙ্কর সতর্ক দৃষ্টিতে ঘরের