পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 অসাধারণ কিনা ! সত্যি, ভারি সুন্দর সিনারিই বটে, ওগো, দ্য খো ইদিকে এসে ! कि शैाका ! শু্যামলী বল্পে-তে তলার ঘরটা দেখে আসি চলো । তেতলার ঘরটি অপেক্ষাকৃত ছোট। কিন্তু খুব বড় বড় তিনটি জানলা তিনটি দেওয়ালে। রাঙা মাটির পালিশ করা মেজে। দরাজ ছাদ, ছাদের ওপর থেকে বহুদূরব্যাপী মুক্ত মাঠের সবুজ বাণী এই আষাঢ় সন্ধ্যায়। ওদের অন্তর স্পর্শ করলে । শ্যামলীর চোখে জল এলো। এ যে রূপকথার রাজবাড়ি তার কাছে, সে গরীব ঘরের মেয়ে, গরীব ঘরের বীে, কলকাতার বাসার অন্ধকূপে আজীবন কাটিয়ে আজ কি ভাগ্যে এমন বাড়িঘর নিজের মনে করবার অধিকার পেল। কানাই ইতিমধ্যে ছুটে এসে বল্লে-বাঁধাঘাট দেখে এলাম মা। একটু ভেঙে ভেঙে ৮টা উঠে গিয়েচে চাতালের। তবুও দিব্যি আরামে নাইতে পারবে। ওই তো-দেখা যাচ্চে—এই উঠোনটা পার হয়েই যদুবাবু বল্লেন-নাঃ, সাড়ে তিনি হাজার টাকা নিক । জিনিসের মত জিনিস। বাড়ির মত <াড়ি। ছেলেপুলে নিয়ে দরাজ জায়গায় বাস করে । এই তো পাশেই গায়ের কি পাড়া। ডাক দিলেই লোক পাবে। কোনো ভয় নেই। আমি এখানেই একটা কিছু ঋ, রবো। এত লোকের চলচে আর আমার চলবে না ? খুব চলবে । তোমরা দাড়াও জিনিসপত্তর সব ওপরে নিয়ে আসি । কি কি গাছ আছে মুক্তোর মা ? মুক্তোর মা বল্লে-তিনটে আমগাছ আছে, সাতটা কঁাটাল গাছ, একটা পেয়ারা গাছ, একটা চালতে গাছ, একটা বিলিতি কুলগাছ, দুঝাড় কলাগাছ, চারটে নারকেল গাছ। বাবুৱা নিজের হাতে সব লাগিয়েছিল থাকবে বলে। সখ করে কলকে তা থেকে চারা এনে এই ওবছরও ওই দ্যাথো একটা চাপা ফুলগাছ বসিয়ে গিয়েচে । একটু পরে সন্ধ্যা হয়ে অন্ধকার নামলো। শ্যামলীর দুঃখ হোল, এখন আর