পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদীর ধারের বাড়ি SG কিছু দেখা যাবে না। নতুন তাঁর জীবনযাত্রার পথে নতুনতর দেশের প্রতিপথঘাট চিনে নেওয়া যেতো, ভাল করে দেখা যেতো আলোেভর দিনমানে । মলী তাড়াতাড়ি লণ্ঠন জ্বালালে। ডাকলে-মুক্তোর মা, ও মুক্তোর মামুক্তোর মা মালপত্র গাডি থেকে নামিয়ে এনে দোতলায় তুলছিল। বল্লেकेि भ। ? -জলি আছে বাডিতে ? -জলি তুলে রেখেচি একটা বালতিতে, আর তো পাত্তব নেই মা তাই তুলতে পারিনি -সে কথা বলসিনে, বাডিতে জল আছে ? কুয়োটুয়ো-বাধানো পাতকুযে আছে। নাওয়ার ঘর আছে, রান্নাঘরের পেছনে । চলুন, আমি দেখিয়ে দি । বাবুদের বাডি কোন ত্রুটি ছিল না। মা, আগাগোডা সান বঁধানে। চৌবাচ্চ আছে বাধানে। —তাতে জল তুলে রাখে। নি ? --নাইবেন যদি তবে পাতিকূযোর জলে কেন মা ? দিব্যি বঁধানো নদীর ঘাট, অসাগর জল নদীতে। এখন জোয়ার এসেচে, সব পৈািঠগুলো ডুব গিয়েচে ! চলুন গা ধুয়ে আসবেন। শ্যামলী নদীর ঘাটেই নাইতে গেল। ঘাটের ঠিক পাশে কি একটা বড প্রাচীন গাছ । তার ছায়া পড়েছে বঁধাঘাটের পৈঠাগুলোতে । কি একটা পুষ্পের সুবাস বাতাসে ভুরিভুর করচে । এই গাছ থেকেই আসচে । -কি ফুলের গন্ধ মুক্তোর মা ? --কি একটা লতা এই গাছে উঠেচে মা, কাল সকালে দেখবেন সাদা সাদা ফুল ফুটেচে। ভারি বাস বেরোয় রাত্তিরি। শু্যামলী জলে নামলে । আজ সে রূপকথার রাজকন্তে । স্নিগ্ধ জল, ওপারের দিক থেকে হাওয়া বইচে । সেই ফুলের সুগন্ধ। তারাভিরা আকাশ।