পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳV) ଅନ୍ଯଅସ୍ବୀ ধান এগার কাঠা, কড়ি সাত কাঠা । এইভাবে রূপে কাকা অনর্গল বলে চলচে গত দু’মাসের মধ্যে কার্জ দিয়েচে যাকে যতটা জিনিস। ওর সব মুখস্ত, কোনো কিছু ভোলে না। ওরই হাতে গোলার চাবির থোলো । যাকে যা দরকার দিয়ে সব মনে করে রেখে দিয়েচে, বাবার খাতায় লেখাবার জন্যে। একদিন একটা ঘটনা ঘটলো । রূপো কাকার জ্বর হয়েছিল, আমাদের বাড়ীতে আসেনি দু’তিন দিন । MLBD DBDB DD DD BD DBBDDDBDLO SDBB S MuBBDBz YLBD ডেকে পাঠালেন। রূপে জ্বরে কঁাপিতে কঁাপিতে বল্লে-বলে গে যাও, আমি জরে উঠতি পারাচি নে। এখন যেতি পারবো না-জ্বরে মরচি। তা সীতানাথ আর আসতে পারলে না পায়ে পায়ে ? তার একটু এলে কি মান যেতো ? বাবা বাবু মানুষ। নতুন বাবু, রূপো বাধানো ছড়ি হাতে নিয়ে বেড়ান, কেঁচা হাতে নিয়ে। ঘড়ির চেন ঝোলে বুকে, হাতে থাকে ঝকমকে আংটি। প্রজাপত্তরের কাছে খুব খাতির। বাবাকে যখন লোকে ফিরে এসে একথা ব’লে, তখন বাবা একেবারে তেলে-বেগুনে উঠলেন জ্বলে। কিন্তু তখন কিছু না বলে গুম হয়ে রইলেন । এর দিন পাঁচ ছয় পরে রূপে কাকা সেরে উঠে আমাদের বাড়ী এল। বাবা তখন চণ্ডীমণ্ডপে বসে হিসেবের খাতাপত্র দেখছিলেন। ওকে দেখেই কড়া সুরে বলে উঠলেন-রূপো ! -कि ? -তুমি মনে মনে কি ভেবেচ জিগ্যেস করি ? তোমার এতবড় আম্পৰ্দ্ধা, তুমি বলে আমি পায়ে পায়ে তোমার বাড়ি যাবো ? তুমি জানো, কার সামনে তুমি দাড়িয়ে আছ ? তোমার মুণ্ডুটা যদি কেটে ফেলি তা হলে খোজ হয় না। তুমি জানো ? এত বড়লোক তুমি হোলে কবে ? রূপে কাকাও সমানে গলা চড়িয়ে উত্তর দিলে-তা তুমি মাথা কাটবে না ?