পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসাধারণ سریع -আচ্ছা যাক, দেখবো অখন । সুতরাং মনে আর একবার খুন্সির ঢেউ উঠলো হারুর। শরীর তার খুব হালকা হয়ে গিয়েচে, জ্বর না এলেও পারে। সকলে বলে শরীর হালকা হয়ে গেলে জর আর নাকি হয় না । সে এক মাঠের ধারে বোষ্টম বাগানের পথে বেড়াতে গেল। ও বাগানের খুব নিবিড় একটা ঝোপঝাড়ের মধ্যে আছে সেই বুড়ো মাদার গাছটা এক বার রজুন কাকার দলে মিশে সে গিয়েছিল সেখানে । রজুন কাকা অদ্ভুত লোক, বড় বয়সের ছেলে, ওর গোপ দাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল, তবুও তাদের সঙ্গে খেলতো। কত নতুন নতুন খেলা শিখিয়েছিল। তার দলে খেলতে বেরুলে শুধুই মজা, কত রকমের মজা। কিন্তু রজুন কাকা চলে গোল কোথায়, একদিন হঠাৎ কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে গেল এ গা থেকে, দুবাব পুজো এসেছে গিয়েচে তারপর-আর আসেনি । মাদার গাছটা খুঁজে পাওয়া গেল না। ভিজে ঝোপ-ঝাপ-কত পটুপটি ফল দুলচে গাছে গাছে। বড বড় পটুপটি ফল। আজকাল সব ছেলেই বর্ষাদিনে পটপটি ফল ছোড়ে, তাদেমি শিখিয়েছিল সেই রািজুন কাকা। একটা বঁাশেব চোঙের মধ্যে পটুপটি ফল পুরে একটা কাঠি দিয়ে ঠেলে দিলেই ফট-ফটাস! যেন বন্দুকের শব্দ ! তাই ওর নাম পটুপটি ফল। আজকাল সবার হাতে দ্যাখো একটা বঁাশের চোঙ আর কাটি আর পটুপটি ফলের গোছা । রজুন কাকা না থাকলে আজ আর কাউকে পটপটি ছুড়িতে হোত না । দুটাে বড় বড় তিৎপল্লার ফুল ফুটেছিল উচুতে। লতার-আগে দুলচে । হাত বাড়িয়ে নাগাল পাওয়া যায় না। এক থোলো পটপটি ফুলই নিয়ে যেতে হবে কিন্তু বহু চেষ্টা করেও সে কোনটাই সংগ্রহ করতে পারলে না । বেলা হয়েচে অনেক, খিদেও বেশ পেয়েচে । বাড়ী গিয়ে রুটি আর মাছের ঝোল খাবে।--কি মজা ! এতক্ষণ রুটি হয়েও