পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ১৯ } হভিড়কের পত্তিপত্নী উভয়ে ভঁাহার পদানত হইয়া অষ্টা , 지 করিতে লাগিল, এবং কহিল “মহারাজ ! আপনি অজ্ঞাত এবং অপরিচিতভাবে এ দীনহীনদিগের সহিত কিয়দিন বসতি করিয়াছিলেন, তাহাতে ৰে কত দুঃখ সহিয়াছেন তাহা ব্যক্ত করা যায় না। আমরা যথাযোগ্যরূপে আপনকার মানরক্ষা করিতে পারি নাই’ । হড়িক এইরূপ নানাপ্রকার খেদ প্রকাশ পূর্ব্বক কতই ‘বিলাপ করিতে লাগিল । - মহাপুরুষ হুমায়ুন বাদশাহ তখন প্রেমভাবে তাহ“দিগকে কহিলেন, “উঠ, উঠ, পদানত হইয়া তোমাদিগের বিলাপ করা উচিত নহে, তোমরা আমার ভ্রাতা ও ভগিনী স্বরূপ । প্রার্থনা করিতেছি, ঈশ্বর ভোমাদিগের সকলকে কুশল প্রদান করুন, ভবিষ্যতে যেন আর তোমাদিগের এরূপ কষ্ট না হয়। এক্ষণে আমি আশীর্ব্বাদ স্বরূপ ষ্ট্ৰেীয়ঁঃ দিগকে নিজ অঙ্গরীয় এবং আর কতকগুলি স্বর্ণমুদ্র প্রদান করিতেছি উঠিয়া গ্রহণ কর” । এই কথা বলিয়া মহারাজ হুমায়ুন আপনার অঙ্গলী হইতে এক মহামূলা অঙ্গরীয় খুলিলেন; তদুপরি শুভ্রকান্তি এক হীরক মণি ছিল, অত্যুত্তম মণিকার এবং ঐশ্বর্যশালী লোক ব্যতীত ঐ রত্বের মুল্যের কথা কেহই বলিতে পারে। না। ঐ অঙ্গরীয় এবং দুই সহস্ৰ স্বর্ণমুদ্র পরিপূর্ণ একটা বগলী মাপন প্রাণদাতা হড়িকের হস্তে দিয়া পরদিন প্রভাতে হুমায়ুন অশ্বারোহণ করিলেন । তিনি তখন গ্রুপে সুস্থ হইয়াছেন, অতএব ঘোটকপূণ্ঠে উপবেশন করিতে র্তাহার কিছুমাত্র কষ্ট হইলন । কিন্তু যাইবার সময় মনোদুঃখের আর সীমপরিশেষ রহিল না। উtহার,