পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আইঞ্জিৰে মরিতে দেখিয় খনে মনে বিবেচনা করিল স্বামীরও এবার এ ভূমণ্ডল পরিত্যাগ করিতে হইবে তাহার সন্দেহ নাই। তাঁহার ছয়মাস বয়সের একটী শিশু ক্ষুধায় কাতর হইয়া রোদন করিতেছিল, তাহার পত্নী ঐ শিশুকে লইয়া ভগ্ন কুটারের কোণে বসিয়া স্তন্যপান করাইতে লাগিল, কিন্তু আহারাভাবে তাহার শরীর নিতান্ত অৰসন্ন হইয়াছিল, অতএব কিরূপে সে দুগ্ধ দিয়া ঐ ক্ষুদ্র শিশুর প্রাণ রক্ষা করিতে পারে? নিকটবর্তী সহরে খাদ্য ফিনিতে পাওয়া যায়, কিন্তু টাকার অভাবে হডিক তাহ। ক্রয় করিতে না পারিয়া কেবল মনস্তাপ ও মনোদুঃখে কাল যাপন করিতে লাগিল । এক এক বার বিক্রেতাদিগের নিকটে যাইয়। সে সাধ্যসাধন করে, “ ভাই ! আহারাভাবে আমার ধর্ম্মপত্নী এবং ক্ষুদ্র শিশুগণের মরিষার উপক্রম হুইয়াছে, তোমরা আমাকে ধারে কিছু ভক্ষ্য দ্রব্য দাও, কিছু দিন বিলম্বে মুসময় হইলেই আমি তোমাদিগের এ ঋণ পরিশোধ করিব ’ । কিন্তু নীচ জাতি বলিয়। ঐ বণিকেরা তাহার কথায় শ্রদ্ধা করেন, বরং, অবজ্ঞা করিয়া তাহাকে দোকান হইতে দূর করিয়া দেয় । স্টারি পাচ দিন অনাহারেই অতীত হইল, হড়িকপরিবারগণ জীবন রক্ষার কোন উপায় করিতে পারিল না, নিশ্চয় স্থির করিল, ঈশ্বর পুত্রকলত্রাদির সহিত আমাকে এবার প্রাণে নিধন করিবেন । নদীতীরে : কতগুলি চারা গাছ ছিল, হডিডক কোন মতে তাহার মুল উৎপাটন পুর্ব্বক বাটীতে আনয়ন করিয়া প্রিয়তম। ভার্য্যাকে তাহা ভক্ষণ করিতে দিল, এবং আপনিও । তাহার কিয়দংশ আহার করিয়া দুই দিন যাপন করিল।