পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[: * ६७. ]

  • রিয়া বলিতে আরম্ভ করিল, “হ বিধাতঃ এই সামান্য বিষয় যদি আমার অনুভব না হয়, তবে আমার মন্ত্র ভঞ্জ সকল বিদ্যাই ৰখা । তুমি সদ্বংশজাত কোন রূপবাণ, পুরুষের গলে বরমালা দিতে বাসনা করিয়াছ। কিন্তু তাহা না হইলেও হইতে পারে, বিবাহ যে হইবে ইহাঙ্কে, আর কোন সন্দেহ নাই”।

অহল্য অশ্রুপূর্ণ নয়নে ক্রন্দন করিত্বে করিতে কহিল, “মাতঃ! প্রাণ যায় ভাও স্বীকার, তথাপি জামি স্বজাতি নীচ হড়িকদিগের কাহাকেও কদাপি বিবাহ করিব না”। ভোজ-বিদ্যায় সুপণ্ডিত বৃদ্ধ তখন মাধুর্য্যভাব প্রকাশ করিয়া অহল্যাকে প্রবোধ দিতে লাগিল, “বাছা! দুঃখ । :সঙ্করণ কর, সৃষ্টিকর্ত্ত পরমেশ্বর তোমাকে রূপ লাবণ্য সৌন্দর্য্যাদি সকল গুণেই পরিভূষিত করিয়াছেন। এতাদৃশী নমোমোহিনী কন্যা ষে অযোগ্য পাত্রের হস্তে পড়িবে, ** নিত্যস্ত অসম্ভব, তাহা হইলে উহার সৃষ্টিকার্যের মাহাত্ম্য কোথায় থাকিবে ? বোধ হইতেছে তোমার গৰ্বে পরম মুন্দর পুত্র কন্যা জন্মিবে । কিন্তু এই ঘোর অন্ধকারের ভিতর দিয়া আমি তোমার বদনমণ্ডল একবার উত্তম । রূপে পরীক্ষা করিয়া না দেখিলে, কোন মতেই গণনা দ্বারা - তোমার অদৃষ্টের কথা বলিয়া দিতে পারিব না। আর ; শুনামার্গে সঞ্চরণ পূর্ব্বক তোমার জন্ম নক্ষত্র নিরীক্ষণ করি: আমাকে বিবেচনা করিতে হইবে, রাত্রি ভিন্ন ঐ সকল্প কর্ম্ম দিনে সমাধা হইরে না। অতএব বাছ ভূমি আজি ৰাও কলা ঠিক এই গঞ্জেকার আমার কাছে সিও, ভাগ্যফলের অনেক কথা আছে, তাহ আমি তোমাকে শ্রবণ করাইতে পারিব । তুমি মনে কিছুমাত্র আশঙ্কা"