বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আকাশ-প্রদীপ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
আকাশ-প্রদীপ

 কানে কানে ডেকেছিল মোরে
 অপরিচিতার কণ্ঠ স্নিগ্ধ নাম ধ’রে,
 সচকিতে
 দেখে তবু পাইনি দেখিতে।
 অকস্মাৎ একদিন কাহার পরশ
 রহস্যের তীব্রতায় দেহে মনে জাগাল হরষ,
 তাহারে শুধায়েছিনু অভিভূত মুহূর্তেই,
 “তুমিই কি সেই,
 আঁধারের কোন্ ঘাট হতে
 এসেছ আলোতে।”
 উত্তরে সে হেনেছিল চকিত বিদ্যুৎ,
 ইঙ্গিতে জানায়েছিল, “আমি তারি দূত,
 সে রয়েছে সব প্রত্যক্ষের পিছে,
 নিত্যকাল সে শুধু আসিছে।
 নক্ষত্র লিপির পত্রে তোমার নামের কাছে
 যার নাম লেখা রহিয়াছে
 অনাদি অজ্ঞাত যুগে সে চড়েছে তার চতুর্দোলা,
 ফিরিছে সে চির পথভোলা
 জ্যোতিষ্কের আলো ছায়ে
 গলায় মোতির মালা, সোনার চরণচক্র পায়ে॥”


২৫।১০।৩৮


১৪