অধীর হইয়া, অশ্রুবিসর্জ্জন করিতে লাগিলাম। কিয়ৎক্ষণ পরে, আমরা সেই ভয়ঙ্কর স্থান হইতে বহির্গত হইলাম। আল্বর্টি ও তাঁহার সহধর্ম্মিণী বহুদিবসের পর, সূর্য্যের মুখ দেখিতে পাইলেন। রাজধানীতে প্রতিগমন করিয়া, তাঁহারা স্ত্রীপুরুষে পুনরায় রাজপ্রসাদভাজন, পূর্ব্বতন পদে প্রতিষ্ঠিত ও প্রভূত সম্পত্তিতে অধিকারী হইয়াছেন, এবং পরম সুখে কালযাপন করিতেছেন।
ইটালির অন্তঃপাতী পেডুয়া নগরে, সাইরিলো নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি স্বভাবতঃ সুশীল, সচ্চরিত্র, সরলহৃদয় ও ধর্ম্মপরায়ণ ছিলেন, কিন্তু স্বপ্নাবস্থায় ইহার সম্পূর্ণ বিপরীতভাবাপন্ন হইতেন। তিনি, নিদ্রিত অবস্থায়, শয্যা হইতে গাত্রোত্থান করিয়া, ইতস্ততঃ সঞ্চরণ করিতেন, এবং বহুবিধ বিগর্হিত কর্ম্মের অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইতেন।
যৎকালে সাইরিলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করিতেন, তাঁহার অধ্যাপক, তাঁহাকে কতকগুলি প্রশ্ন দিয়া, উত্তর লিখিয়া আনিতে বলিয়া দিয়াছিলেন। সেই সকল প্রশ্নের উত্তর লিখিয়া, পর দিন যথাকালে বিদ্যালয়ে লইয়া যাওয়া অসাধ্য বিবেচনা করিয়া, তিনি যৎপরোনাস্তি উৎকণ্ঠিত হইলেন। না লইয়া গেলে,