পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (তৃতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশ্চর্য্য দস্যুদমন।
৬৩

তুলিয়া লইতে পার। তুমি আপনি তুলিয়া লও, আমি কখনই তুলিয়া দিব না। পরিশ্রমে এত কাতর হওযা পুরুষের উচিত নহে।

 যাহা হউক, অবশেষে হাঁচেন ছুরী তুলিয়া দিতে, তাহার নিকটে আসিল, এবং মস্তক অবনত করিয়া, যেমন ছুরী তুলিতে গেল, অমনই সেই দুরাত্মা, বাম হস্ত দ্বারা বিলক্ষণ বলপূর্ব্বক তদীয় গ্রীবা ধরিয়া, দক্ষিণ হস্ত দ্বারা বস্ত্রমধ্য হইতে এক তীক্ষ্ণধার অস্ত্র বহিষ্কৃত করিল, এবং কটূক্তিপ্রয়োগ ও ভয়প্রদর্শন করিয়া বলিল, যদি বাঁচিতে চাও, চীৎকার করিও না, এবং তোমার প্রভুর সম্পত্তি কোন্ স্থানে আছে, দেখাইয়া দাও, নতুবা এখনই তোমার কণ্ঠচ্ছেদন করিব। তদীয় ঈদৃশ ব্যবহার দর্শনে, চমৎকৃত ও ভয়ে অভিভূত হইয়া, হাঁচেন্ বলিল, কি কর, ছাড়িয়া দাও, আমার প্রাণ যায়, আর খানিক এরূপে ধরিয়া থাকিলে, আমি মরিয়া যাইব। সে বলিল, হয় তোমার প্রভুর সম্পত্তি দেখাইয়া দাও, নয় এখনই তোমার প্রাণবধ করিব।

 হাঁচেন্ বিস্তর বুঝাইল, কিন্তু কিছুতেই তাহাকে নিরস্ত করিতে পারিল না। অবশেষে, নিতান্ত নিরুপায় ভাবিয়া, সে ভাবগোপন করিয়া বলিল, আমি যেরূপ দেখিতেছি, তাহাতে তোমার অভিপ্রায় অনুসারে না চলিলে, আমার নিষ্কৃতি নাই। কিন্তু যদি তুমি আমায় তোমার সঙ্গে লইয়া যাও, তবেই আমি তোমায় প্রভুর সম্পত্তি দেখাইয়া দি। কারণ, তুমি সম্পত্তি