পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (তৃতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশ্চর্য্য দস্যুদমন।
৬৫

করিয়া, নিঃশব্দপদসঞ্চারে প্রত্যাগমন পূর্ব্বক, নিমিষমধ্যে সেই য়নাগারের দ্বার এরূপে রুদ্ধ করিল যে, আর সে দুরাত্মার গৃহ হইতে বহির্গত হইবার উপায় রহিল না।

 এইরূপে বটেলরকে গৃহমধ্যে রুদ্ধ করিয়া, হাঁচেন বাটীর বহির্দ্বারে উপস্থিত হইল, এবং লোকসংগ্রহ করিবার নিমিত্ত, কাতরস্বরে চীৎকার করিতে লাগিল। কিন্তু, দুর্ভাগ্যক্রমে সে দিন সে সময়ে সেখানে ব্যক্তিমাত্র ছিল না, কেবল গৃহস্বামীর পঞ্চমবর্ষীয় পুত্রটি কিঞ্চিৎ দূরে খেলা করিতেছিল। তাহাকে দেখিতে পাইয়া, তাহার নামগ্রহণ পূর্ব্বক হাঁচেন উচ্চৈঃস্বরে বলিল, তুমি ঐ পথ দিয়া দৌডিয়া তোমার পিতার নিকটে যাও, এবং তাঁহাকে সত্বর বাটীতে আসিতে বল, নতুবা আমার প্রাণান্ত ও তাঁহার সর্ব্বস্বান্ত হইবে। বালক, তাহার অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া, নির্দ্দিষ্ট পথ দিয়া দৌড়িয়া পিতার নিকটে চলিল। সে তাহার অভিপ্রায় বুঝিয়া, তদনুযায়ী কার্য্য করিতে গেল, ইহা দেখিযা কিঞ্চিৎ অংশে নিশ্চিন্ত হইয়া, হাঁচেন্ দ্বারদেশে উপবিষ্ট হইল, এবং ঈশ্বরের কৃপায়, আজ আমি প্রভুর সম্পত্তিরক্ষা করিতে পারিলাম, এই ভাবিয়া আহ্লাদে অধীব হইয়া, আনন্দাশ্রুবিসর্জন করিতে লাগিল।

 কিন্তু, হাঁচেনের এই আনন্দ অধিকক্ষণস্থায়ী হইল না। অতি বিকট তুরীশব্দ তাহার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইল। বটেলর এক সহচরকে সঙ্গে আনিয়াছিল, এবং এই উপদেশ দিয়া তাহাকে কিঞ্চিৎ দূরে রাখিয়া আসিযাছিল যে, আবশ্যক হইলে তুরীশব্দ