পুরস্কারস্বরূপ আপন জ্যেষ্ঠ পুত্রের সহিত তাহার বিবাহ দিলেন। হাঁচেন অতি দীনের কন্যা। তাহার ভাগ্যে ঈদৃশ সমৃদ্ধিশালী পরিবারে পরিণয় ঘটিবার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। সে, এক্ষণে, আশার অতিরিক্ত ফললাভ করিয়া, সুখে ও স্বচ্ছন্দে কালহরণ করিতে লাগিল।
খৃষ্টধর্ম্মাবলম্বীদিগের মধ্যে কোয়েকব নামে এক সম্প্রদায় আছে। ঐ সম্প্রদায়ের লোকদিগের নিয়ম এই, তাঁহারা প্রাণান্তেও অন্যের অনিষ্টাচরণ করেন না, এবং অন্যে তাঁহাদের অনিষ্টাচরণে প্রবৃত্ত হইলেও, তাঁহারা রোষের বশবর্ত্তী হইয়া বৈরসাধনে উদ্যত হয়েন না। ইংলণ্ডের অধীশ্বর দ্বিতীয় চার্লসের অধিকারকালে, এক জাহাজে বাণিজ্যার্থে বিনীস্ যাত্রা করিয়াছিল। ঐ জাহাজের অধ্যক্ষ ও তদীয় সহকারী কোয়েকব সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন।
এই সময়ে খৃষ্টধর্ম্মাবলম্বী য়ুরোপীয় লোক ও মুসলমানধর্ম্মাবলম্বী তুরুষ্কজাতি, এ উভয়ের পরস্পর ভয়ানক বিরোধ ও বিদ্বেষভাব চলিতেছিল। সুযোগ পাইলে, তাঁহারা পরস্পরের জাহাজ লুণ্ঠন ও তত্রত্য লোকদিগকে রুদ্ধ করিয়া দাসরূপে বিক্রয় করিতেন। পূর্ব্বোক্ত জাহাজ বিনীস্ হইতে প্রতিগমন করিতেছে, পথিমধ্যে তুরুষ্কজাতীয় দস্যুদল আক্রমণ করিয়া,