চতুর্থ ক্রিষ্টিয়নের নিকট আবেদন করিলেন, মহারাজ, আমরা কখনও অমুকের নিকট টাকা ধার করি নাই; তিনি জাল খত প্রস্তুত করিয়া, আদালতে আমার নামে নালিশ করেন। ঐ খত দেখিয়া, বিচারপতি আমার প্রতি ঋণপরিশোধের আদেশ দিয়াছেন। আমি মহারাজের নিকট ধর্ম্মপ্রমাণ বলিতেছি, আমরা উহাব নিকট কস্মিন্ কালেও টাকা ধার করি নাই। মহারাজ, দয়া করিয়া এই বিষয়ের বিচার না করিলে, আমি এ জন্মের মত উচ্ছিন্ন হই।
আবেদনপত্র পড়িয়া রাজা অঙ্গীকার করিলেন, আমি এ বিষয়ের যথোচিত বিচার করিব। অনন্তর তিনি বোজন্ ক্রেন্জ্কে আপন নিকটে আনাইলেন। এ বিষয় তাঁহাব সহিত কিয়ৎক্ষণ কথোপকথন করিয়া, রাজা বুঝিতে পারিলেন, এ দেনা বাস্তবিক নহে। তখন তিনি তাঁহাকে ক্ষান্ত হইবার নিমিত্ত অনেক বুঝাইলেন, অনেক অনুবোধ করিলেন, কিন্তু তাহাতে কোনও ফল দৰ্শিল না। সে ব্যক্তি বলিলেন, মহারাজ, উহারা খত লিখিয়া দিয়া টাকা লইয়াছে; আমি এ টাকা কোনও মতে ছাড়িয়া দিতে পারিব না। রাজা, তাঁহার নিকট হইতে খতখানি লইলেন, এবং বলিলেন, তুমি এক্ষণে এখান হইতে যাও, আমি শীঘ্রই তোমাব খত ফিবাইয়া দিব।
এই বলিযা তাঁহাকে বিদায় দিয়া, রাজা একাকী