পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দয়ালুতা ও পরোপকারিতা।
১১

দিলে, তিনি দাসত্বমুক্ত হইতে পারেন, আমরা, সেই টাকার সংগ্রহের নিমিত্ত, প্রাণপণে যত্ন ও চেষ্টা করিব, এই প্রতিজ্ঞা করিয়াছি। অন্য উপায় দেখিতে না পাইযা, অবশেষে, এই নীচ বৃত্তি অবলম্বন কবিয়াছি। আমরা যে তাহাকে দাসত্বমুক্ত করিতে পারিব, আমাদের সে আশা নাই, কিন্তু তদর্থে, যথোচিত (চষ্টা না করিয়াও, ক্ষান্ত থাকিতে পাবিতেছি না।

 তাহাদের কথা শুনিয়া ও পিতৃভক্তি দেখিয়া, মণ্টেঙ্কু প্রসন্ন বদনে বলিলেন, দেখ, প্রথমত, তোমাদিগকে অর্থলোভী স্থির করিয়াছিলাম, কিন্তু এক্ষণে, কি কারণে তোমরা এই নীচ বৃওি অবলম্বন করিয়াছ, তাহার সবিশেষ অবগত হইযা, যৎপরোনাস্তি প্রীতি প্রাপ্ত হইলাম, তোমবা যথার্থ সুসন্তান, অচিরে তোমাদের মনস্কাম পূর্ণ হইবে। এই বলিয়া, বিলক্ষণ পুৰস্কার দিয়া, তিনি প্রস্থান কবিলেন।

 কতিপয় মাস অতীত হইল। এক দিন তাহারা দুই সহদরে দোকানে কর্ম্ম করিতেছে, এমন সময়ে তাহাদের পিতা তথায় উপস্থিত হইলেন। তাঁহাকে নয়নগোচর কৱিষা, তাহারা বিস্ময়াপন্ন হইল, এবং আহলাদে গদগদ হইয়া, অশ্রুপাত করিতে লাগিল। তাহাদের পিতা, মনে কৱিয়ছিলেন, পুত্ত্রেরা টাকা