পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
আখ্যানমঞ্জরী।

পাঠাইয়াছিল, তাহাতেই তিনি দাসমুক্ত হইয়াছেন। তিনি, তাহাদের মুখচুম্বন করিয়া, আশীর্ব্বদ করিলেন; এবং জিজ্ঞাসিলেন, তোমরা এত টাকা কোথায় পাইলে? আমার আশঙ্কা হইতেছে, কোনও অন্যায় উপায় অবলম্বন পূর্ব্বক, এই টাকার সংগ্রহ করিযাছ। তাহারা শুনিয়া বিস্ময়াপন্ন হইযা বলিল, না মহাশয়, আপনি ওরূপ আশঙ্কা করিতেছেন কেন, আমরা আপনকার দাসত্বমোচনেব জন্য, টাকা পাঠাই নাই, বলিতে কি, আমরা এ বিষযেব বিন্দু বিসর্গও জানি না।

 এই কথা শুনিয়া, তাহাদের পিতা সাতিশয় বিস্মযাপন্ন হইলেন, এবং বলিলেন, তবে এ টাকা কে দিল। আমার প্রভু, টাকা পাইয়া, আমায় নিষ্কৃতি দিয়াছেন, তাহা আমি অবধারিত জানি। টাকাও অনেক, এত টাকা কোথা হইতে আসিল, তাহা আমিও জানিলাম না, তোমরাও জানিলে না, এ বড় আশ্চর্য্রযে বিষয়। ফলতঃ, তিন জনেই বিস্ময়াপন্ন হইয়া ভাবিতে লাগিলেন। কিযংক্ষণ পরে, তাহারা দুই সহোদরে বলিল, মহাশয, আমরা এতক্ষণে বুঝিতে পারিয়াছি; এ আর কাহারও কর্ম্ম নহে। কিছু দিন পূর্ব্বে, এক সদাশয় দয়ালু মহাশয়, আমাদের নৌকায় চড়িয়া, কথাপ্রসঙ্গে আপনার বৃত্তান্ত অবগত হইয়াছিলেন। তিনি অতিশয়