পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপকার স্মরণ
৪১

দৃষ্টি হওয়াতে, আমার দুঃখ দূর হইযাছে। এক্ষণে আমি বিলক্ষণ সঙ্গতিপন্ন এবং সর্ব্বত্র মান্য ও গণ্য হইয়াছি। এ সমস্তই সেই দয়াশীল মহাপুরুষের অনুগ্রহের ফল। তাঁহার দয়া ও অনুগ্রহ আমার হৃদয়ে, সর্বক্ষণ, বিলক্ষণ জাগরূক রহিয়াছে। এমন স্থলে, প্রাণদণ্ডভযে, তাঁহার গুণকীর্তনে বিরত হইলে, আমায় নিরতিশয় অধর্ম্মগ্রস্ত হইতে হইবে। অতএব ধর্ম্মাবতার, ইচ্ছা হয়, আমার প্রাণদণ্ড করুন, জীবিত থাকিয়া, আমি কোনও কারণে, তাঁহার গুণকীর্তনে বিরত হইতে পাবিব না। বৃদ্ধ আববের কৃতজ্ঞতা ও অকুতোভয়তার আতিশয্য দর্শনে, খলীফা যৎপরোনান্তি প্রীতিপ্রাপ্ত হইলেন, এবং সাতিশয় প্রসন্ন হইয়া, তাঁহাকে বহুমূল্য পুরস্কার দিলেন। তখন, সেই বৃদ্ধ আবাব বলিলেন, ধর্মাবতার, ববৰ্মীকীর অনুগ্রহই আমার এই অভাবনীয় সম্মানের একমাত্র কারণ।


উপকার স্মরণ

একদিন, আমেরিকার এক আদিম নিবাসী ইংরেজদের পান্থনিবাসে উপস্থিত হইল, এবং পান্থনিবাসে কর্ত্রীর নিকটে প্রার্থনা করিল, আপনি দয়া করিয়া আমায় কিছু আহার দেন; আমি ক্ষুধায় অতিশয় কাতর হইয়াছি।