পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রত্যুপকার।
৫৩

 পরদিন প্রাতঃকালে, আমি খলীফার নিকটে উপস্থিত হইলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, সে লোেকটি কোথায়, তাহাকে আনিয়াছ? এই বলি, তিনি ঘাতককে ডাকাইয়া, প্রস্তুত হইতে আদেশ দিলেন। তখন আমি তাঁহার চরণে পতিত হইয়া, বিনীত ও কাতর বচনে বলিলাম, ধর্মাবতার, ঐ ব্যক্তির বিষয়ে আমার কিছু বক্তব্য আছে, অনুমতি হইলে সবিশেষ সমস্ত আপনকার গোচর করি। এই কথা শুনিবামাত্র, তাহার কোপানল প্রজ্বলিত হইযা উঠিল। তিনি রোষরক্ত নয়নে বলিলেন, আমি শপথ করিয়া বলিতেছি, যদি তুমি তাহাকে ছাডিয়া দিয়া থাক, এই দণ্ডে তোমার প্রাণদণ্ড হইবে। তখন আমি বলিলাম, আপনি ইচ্ছা করিলে, এই মুহূর্ত্তে আমার ও তাঁহার প্রাণদণ্ড করিতে পাবেন, তাহার সন্দেহ কি। কিন্তু, আমি যে নিবেদন করিতে ইচ্ছা করিতেছি, কৃপা করিয়া তাহা শুনিলে, আমি চরিতার্থ হই।

 এই কথা শুনিয়া, খলীফা, উদ্ধত বচনে বলিলেন, কি বলিতে চাও, বল। তখন, সে ব্যক্তি, ডেমাস্কস্ নগরে, কি রূপে আশ্রযদান ও প্রাণরক্ষা কবিয়াছিলেন, এবং এক্ষণে আমি তাঁহাকে ছাড়িয়া দিতে চাহিলে, আমি অবধারিত বিপদে পড়িব, এজন্য তাহাতে কোনও মতে সম্মত হইলেন না; এই দুই বিষয়ের সবিশেষ নির্দ্দেশ