পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (প্রথম ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
আখ্যানমঞ্জরী।

পুরস্কার করা উচিত, না করিলে, আমি নিঃসন্দেহ অধর্ম্মগ্রস্ত হইব।

 এই স্থির করিয়া তিনি সেই বৃদ্ধাকে কহিলেন, অয়ি ধর্ম্মশীলে। তুমি আমাদের যে মহোপকার করিলে, কিয়ৎ অংশে আমায় তাহার পরিশোধ করিতে দাও। বলিয়া, তিনি তাহাকে বহু সহস্র মুদ্রা দিতে উদ্যত হইলেন। তখন বৃদ্ধা কহিলেন, অর্থের লোভ থাকিলে, আমি আপনার সর্ব্বস্বই লইতে পারিতাম, আপনার স্বামী আমায় যথেষ্ট স্নেহ ও অনুগ্রহ করিতেন, আমি যে তাঁহার ন্যস্ত সম্পত্তি যথার্থ উত্তরাধিকারীর হস্তে অৰ্পণ করিতে পারিলাম, তাহাতেই আমি চরিতার্থ হইয়াছি, আমার অপর পুরস্কারের প্রয়োজন নাই, আপনি যদি আমার উপর তাঁহার ন্যায় স্নেহদৃষ্টি রাখেন, তাহাই আমি প্রভূত পুরস্কার জ্ঞান করিব।


পিতৃবৎসলতা।

ইয়ুরোপে যে সকল ভদ্রসন্তানেরা সৈন্যসংক্রান্ত কর্ম্মে নিযুক্ত হয়, তাহারা, প্রথমতঃ কিছু দিন, যুদ্ধকার্য্যের উপযোগী বিষয়ে শিক্ষা পাইয়া থাকে। এই শিক্ষা দিবার নিমিত্ত, স্থানে স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত আছে। যাহারা ঐ সকল বিদ্যালয়ে প্রবিষ্ট হইয়া থাকে, তাহাদিগকে, ভোজন পরিচ্ছদ প্রভৃতি সমস্ত বিষয়ে, তত্রত্য নিয়মাবলীর অনুবর্ত্তী হইয়া চলিতে হয়,