আচ্ছা সে দেখা যাবে। আসছি। চিঠি নিয়ে। হয়ত বা তিনি নিজেই এসে হাজির হবেন । এই বলে মেয়েরা চলে গেল। তাদের কাপড়ের এসেন্সের গন্ধে তখনও ঘরের বাতাস ভারী, উত্তেজিত কণ্ঠের ঝাঁঝালো তােক তখনও চারটি দেওয়ালের গায়ে মাথা ঠকে বেড়াচ্ছে । মণি ডাকলে, রমেন কি ঘামাচ্ছে ? ঘরের অপর প্রান্তে একটি কেশিবসের ইজিচেয়ারে রমেন চোখ বজে শয়েছিল, সাড়া দিয়ে বললে, না, আমার ট্রেনের-শব্দেই ঘািম হয় না, তা চার-চারটে এরোপোলনের नाकाम 5लाँछन । তুমি ভারী অসভ্য, রমেন । মেয়েদের সম্পবন্ধে, কখনও কি শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা কইতে পারো না ? রমেন চুপ করে রইলো । মণি বলতে লাগলো, আমি আশা করেছিলাম। আমাদের আলোচনায় তুমি যোগ দেবে, কিন্তু একটা কথা কইলে না, ওধারে গিয়ে শয়ে রইলে । তোমার সম্বন্ধে ও’রা কি ভেবে গেলেন কল্পনা করতে পারো ? न } ܬ݁ ভেবে গেলেন একটি আসতে জানোয়ার 1 ভেবে গেলেন এ পশটাকে মণি যখন তখন তার ঘরের মধ্যে সহ্য করে কি করে ! p ü一 কিসের উঃ ধরো, এই মেয়ে চারটির যদি কোনদিন বিয়ে হয় ! উঃ মণি রেগে বললে, বিয়ে তা হবেই একদিন । ওরা কি চিরকাল আইবড়ো থাকবেন। नाकि ? রমেন গম্ভীর হয়ে প্রশন করলে, সে মতলব এদের নেই তা হলে ? ঠিক জানো ? মণি হেসে বললে, না নেই । ঠিক জানি । উঃ তোমার বকে কি শেল বিধছে নাকি ? হাঁ বিধিছে। মানস-চক্ষে আমি সেই দভাগ্যগলোকে স্পষ্ট দেখতে পাচিছ। এই বলে সে একটা দীবাঁশবাস মোচন করে চেয়ারে সোজা হয়ে উঠে বসলো। বললে, জানো মণিমালা, পরম জ্ঞানী Aristotle সম্পবন্ধে একটা প্রবাদ আছে । কোথায় যেতে পথের ধারে একটা গাছের ডালে দেখতে পান, একটি মেয়ে গলায় দাঁড়ি দিয়ে ঝলচে। মথ চোখে চেয়ে থেকে বলেছিলেন, আহা, এমনি ফল যদি পথিবীর সমস্ত গাছের ডালে ফলতো, জগৎ সবগ হয়ে যেত। ত্রিবিধ দখ-নাশের মীমাংসা বন্ধদেব দিয়ে। গেছেন বটে, কিন্তু দনিয়াকে স্বৰ্গ করবার থিওরি একমাত্র তিনিই আবিস্কার করে cभछन । हाँ, खानी दो ! * রমেন ভেবেছিল, মণি খাব একচেটি হাসবে, কিন্তু হ’ল উলটাে । দেখতে দেখতে তার মাখের চেহারা কঠোর হয়ে এলো, শান্ত গঙ্গভীর-স্বরে বললে, রমেন, তোমার এই ܠܬ
পাতা:আগামীকাল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১
অবয়ব