ওপর । শতাধিক মানষি, বিশেষ করে সবাই মহিলা। থাকবেন সাতদিন । এদের জন্য উপযন্ত ব্যবস্থা করা যে সে কাজ নয় । ডেলিগেটদের আপ্যায়ণ ছাড়াও মণি'র ওপর অতিরিক্ত একটা অলিখিত গাের দায়িত্ব বতেছে। অধিবেশনের প্রথম দিনই 'সমাতি প্রসতি সদন'-এর উদ্বোধনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আসলে মণি একরকম জেদ করেই কাজটা শার করেছে। সংস্থার কয়েকজন সদস্যের ইচেছ ছিল, অধিবেশনে প্রসতি সদনের প্রস্তাব পাশ করিয়ে রাখা হােক । পরবর্তীকালে সংযোগ-সবিধে মত সে প্রস্তাবকে বাস্তবায়িত করা যাবে। মণি আড়ালে সকল্যাণী মিটারকে বঝিয়ে শঝিয়ে রাজী করিয়েছে শািভকাজ বিলম্বে পািড় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । তাছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যেসব ডেলিগেট আসছেন। ওরা আমাদের সদ্য প্রতিঠিত প্রসতি সদন দেখে প্রেরণা পাবে, নিজ-নিজ গ্রামে এমন সেবামলক প্রতিভাঠান গড়ে তোলার কাজে উদ্ধিবন্ধ হবেন । সকল্যাণী মিটারের মনে মণি আগ্রহের সঞ্চার করতে পেরেছে। ও’রই ঐকান্তিক আগ্রহে অন্যান্য সদস্যারা সমিতি প্রসতি সদন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে সরাসরি বাস্তুবায়িত করার সিদ্ধান্তকে হাসিমখে স্বীকতি দেন। ব্যস, তারপরই মণি'র কাঁধে বাড়তি এই দায়িত্বের বোঝা চাপে । মণি ঝোঁকের মাথায় প্রসতি সদন গড়ে তোলার দায়িত্ব ত কাঁধে নিয়ে বসল। একে বাস্তব রূপ দিতে গেলে কোন কমােঠ পরিষের সক্রিয় সহযোগিতা ভিন্ন সম্ভব নয়। মাথায় একটা ফন্দি এসে গেল সঙ্গে সঙ্গে জলধি’র শরণাপন্ন হ’ল ; ও কাজ-পাগল মানষ। যোগ্য সংগঠকও বটে। মণি ভালই যানে, ওর পক্ষে কোন কাজই অসাধ্য নয় ; ওর দেশপ্রেম ও সমাজপ্রীতি নিখাদ । দশের হিতাথে সবসব উজার করে দেবার মানসিকতার পরিচয় মণি ইতিপবে বহবারই জলধি'র মধ্যে পেয়েছে। আর দেরী নয়। এনা’কে নিয়ে মণি সোজা জলধি'র মেসে হাজির হ’ল । প্রসতি সদন গাড়ার কাজে সাহায্য প্রার্থনা করল । মণি'র প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করবে ওর সাধ্য কি ? ব্যস, জলধি কোমড়ে গামছা বেধে লেগে গেল ধশি-খাঁটি দড়িদাঁড়া সংগ্রহের কাজে । গ্রামের মানষে সাধ্যমত বাঁশ-খাঁটি ও খড় প্রভাতি দিয়ে সাহায্য করল । শােধ কি তা-ঠা নিজেদের সবার্থের তাগিদেই গ্রামবাসীরা প্রসতি সদন তৈরী করার কাজে স্বেচছাশ্রম দিতেও কুণ্ঠিত হ’ল না। পােশ উদ্যমে কাজ শরা হয়ে গেল। জলধি সনানাহার ভুলে গেল। চব্বিশ ঘটা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে কাজের তদ্ধিশ্বর করতে লাগল। লম্বা একটা হলঘর মত তৈরী হবে। পাশে বাঁশের বেড়া আর খড়ের ছাউনি। দশটা চৌকি যাতে ভালভাবে পাতা যায় ঘরটা মোটামটি সেরকম মাপের তৈরী হচ্ছে । চৌকির ব্যবস্থাও ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। গ্রামবাসীরাই স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে একটা করে চৌকি দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জলধি অতন্দ্রপ্রহরীর মত সবক্ষিণ দাঁড়িয়ে থেকে কমাদের কাজ দেখাশোনা করছে । এমন সময় মণি'র সহকারী এন সেখানে হাজির হ’ল। জলধি'র কাছে গিয়ে দাঁড়াল । A6
পাতা:আগামীকাল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৭
অবয়ব