মচিকি হেসে বললে, এপথ দিয়ে যেতে গিয়ে ভাবলাম, আপনার কাজ কতটা এগিয়েছে দেখে याई। জলধি রসিকতা করে বললে, এসেই যখন পড়েছেন, না দেখে যাবেনই বা কি করে । এনা। মাখে বিদ্রাপের হাসিফটিয়ে বললে, মণিাদির প্রস্তাব শানে আমি কিন্তু সেদিন মনে মনে হেসেছিলাম। জলধিবাব । জলধি হেসে বললে, কোন প্রস্তাব ? এমন কি প্রস্তাব মণি দিয়েছিল যে, আপনার হাসির উদ্রেক ঘটেছিল ? এনা মাখের হাসিটকু অক্ষয় রেখেই বললে, মানে আপনায় মত একজন অকৃতদার পরিষের ওপর প্রসতি সদন তৈরীর দায়িত্ব দেয়ার ব্যাপারটার কথা বলছি । জলধি হেসে বললে, কেন ভরসা হচ্ছিল না বঝি ? भाg३ ना । এখন আপনার সে-ধারণাকে ভ্রান্ত বলে মনে হচ্ছে ত ? হাঁ, মঘীকার করতে বাধা হচিছ । সাফল্যের পরিস্কার কিছু আশা করতে পারি কি ? সেটা অবশ্য ভেবে দেখার ব্যাপার। দয়া করে সে-ভাবনাটা একটি তাড়াতাড়ি-পরমকার বা তিরস্কাৱজলধি'র কথা শেয করতে না দিয়েই এনা বলতে বলতে হাঁটা দিল, হয়ত শেষেরটাইতারগরের বক্তব্য জলধি শািনতে পেল না। নীরবে ভাব-ধিমাগধ চোখে এনার ফেলে ঘাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে রইল । অদরে মণি'কে সাইকেল চেপে আসতে দেখা গেল । রাপ্তার ধারের বটগাছটার নীচে সাইকেল থেকে নামল। ইদানিং পাড়ায় পাড়ায় ওর কিছ ভক্ত যোগার হয়েছে। অতি অলপ বয়সের বালক-বালিকা ওর সাইকেলের ঘণ্টা শানলেই, বা দীর থেকে চলমান শোলার টপিটা দেখলেই হৈ হৈ করে সবাই এসে রাস্তায় ভিড় জমার । আর মণিও হাসিমখে কুশল সংবাদাদি নেয়, ব্যাগ থেকে লজেন্স বের করে সবার হাতে একটি করে তুলে দিয়ে হাসিমখে সাইকেলে চাপে । জলধি দীর থেকে মণি'কে পরনো অশবথ গাছটার তলায় সাইকেল থেকে নামতে দেখল। কয়েক মাহত পরে আর সেখানে দেখতে পেল না। অবাক হ'ল। জলজান্ত একটা মেয়ে কপরের মত হাওয়ায় উবে গেল নাকি ! জলধি আবার কমাদের দিকে মন দিল । মণি পাশের এক চাষী-পরিবারের বাড়ি গিয়েছিল ৷ যে-সব ছেলে-মেয়ে অশবথ-গাছের তলায় ওকে ঘিরে জমায়েত হয়েছিল। আচমকা ওদেরই একজনের বাড়ি গিয়ে হাজির হল । ছেলেটার বয়স বছর অ্যাটেক বয়েস ) দেখলে চার-পাঁচ বছরের বেশী মনে হয় না । রিকেট রোগীর মত চেহারা । হাত-পা গলো কাঠি কাঠি। শরীরের তুলনায় মাথা আর পেটটি অস্বাভাবিক বড়। খালি গা, পরণে ছোড়া একটা ইজের প্যাস্ট। বকের
পাতা:আগামীকাল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৮
অবয়ব