उद्ध्व उद्भ दुव्याष्ट्र कि ! মণি হাসি থামিয়ে বললে, তবে ত আপনার ‘অকাতদার’ বদনামটা ঘাঁচাতেই হয় দেখছি। জলধিন্দা, এনা মেয়েটা কিন্তু সব দিক থেকেই ভাল। দেখতে খাব সশ্রী না। হলেও কুৎসিৎ বলা চলা না। জলধি নিবাক । মণি ব’লে চলল আমি বলছি জলধিন্দা, টোপ ফেললেই বাঁশিতে গেথে কেলিন্তে পারবেন । জলধি বললে, হাঁ, বৰঝলাম, ও রকম আর একটি মেয়ে এ-তল্লাটে খাঁজে পাওয়া ভার, এ-কথাই ত বলতে চাইছ ? অবশ্যই। রাপের দিক থেকে না হলেও গণের দিক থেকে তা অবশ্যই। জলধিদা। আর কতদিন মেসের চৌকিটা দখল করে রাখবেন, বলন তা ? বিয়ে যা করে ঘর সংসার পাতুন। সব মানষের ত একটা কিছ: অবলম্বন-~~ মণি'র মাখের কথা শেষ হবার আগেই জলধি বললে, মণি, তোমায় যদি চলে। তবে আমারই বা চলবে না কেন ? মণি নীরবে পােশ ফিরে কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে ঘরামিদের কাজ দেখতে লাগল। জলধি এবার বাবতে পারল, অসতক মহতে্যু ও মণি'র ক্ষতস্থানে আঘাত হেনে ফেলেছে। নিজেকে বড় অপরাধী মনে হ'ল। কিন্তু উপায়ও ত কিছু নেই। তাঁর হাত ছাড়া হয়ে গেছে । অনন্যেপায় হয়ে চুপ করে রইল । মণি সদ্য তৈরী ঘরটার চারদিকে নীরবে ঘরে ঘরে ঘরামিদেব কাজকম দেখল । তারপর তেমনি নীরবে সাইকেল চেপে এগিয়ে গেল । - জলধি ওর ফেলে যাওয়া পথের দিকে নীরব দটি মেলে কয়েক মহত তাকিয়ে রইল। ফসফাস নিঙড়ে দীর্ঘশ্ববাস বেরিয়ে মধ্যাহের তপ্ত বায়র সঙ্গে মিলিযে গেল । দ্বাদশ পরিচ্ছেদ কাকডাকা সকালে মণি বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল । সকাল আটটায় নারী-কল্যাণ-সমিতি'র বাৰ্ষিক অধিবেশনের উদ্বােধন-অনুষ্ঠান শর হবার কথা। পরবতী অনন্ঠান। দশটায় । সমিতি প্রসতি সদনের উদ্বোধন হবে। g) মণি কোন রকমে চোখে-মাখ জলের ছিটে দিয়ে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। মাথায় বিরাট দায়িত্ব। অধিবেশনের সাতদিন ওর নি:শবাস ফেলার সময় পাবে না। যদিও স্বেচ্ছাসেবকদের তদারকি থেকে শরৎ করে ডেলিগেটদের আদর-আপ্যায়ণ প্রভাতি কাজের দায়িত্বভার সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন সদস্যার ওপর অৰ্পিত হয়েছে, তব, সর্বত্র ঘরে ঘরে ওকে খোঁজ খবর নিতে হচ্ছে কার, কোথায় অসবিধে। সকল্যাণী মিটার ওর ওপর খবই নিভাির করছেন। তবে একথাও ঠিক, এককড়ি ও জলধি থেকে ኴፉO
পাতা:আগামীকাল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮২
অবয়ব