যে-অভাগিনীকে মািখ বঝে শত অপমান সহ্য করেও সেপষ"ডরই ঘর করতে হবে, দাসীর চেয়েও নিকুটি জীবনকে হাসিমখে মেনে নিয়ে স্বামীর্যপী পশয় পজায় লিপ্ত থাকতে । হবে ? কিন্তু কেন এ-অবিচার ? নারীকে সামাজিক কুসংস্কারের শঙ্খলে আর্টেপলেট। বেধে রেখে বলির জন্য উৎসৰ্গীকৃত পশর মত জীবন যাপন করতে বাধ্য করা হচেছ । কেন ? আমরা কি প্রপীড়িতা লাঞ্ছিতা ও বঞ্চিতা নারীকে আত্মরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিতে পারি না। পারি না কি বিবাহ-বিচ্ছেদের হাতিয়ার তুলে দিতে ? আমরা আজ আছি, আগামীকাল হয়ত নাও থাকতে পারি। কিন্তু আমাদের উত্তর সরী যারা থাকবে। ওরা ত অন্ততঃ নিশ্চিত ও সখময় ভবিষ্যৎ-জীবন যাপন করতে পারবে। আমরা আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নিচিছ, নারী-কল্যাণ-সমিতির পক্ষ থেকে “বিবাহ-বিচেছদ’ আইন প্রবর্তনের জন্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন করব। প্রয়োজনে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতেও ইতস্ততঃ করব না। • এবার আলোচনা করা যাক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেসব মহিলাকমী কমে নিষিক্ত রয়েছেন, ওদের প্রতি বঞ্চনার বিষয় । আমরা জানি একই প্রতিষ্ঠানে একই কমে নিযক্ত পরিষ ও মহিলা কামীদের মধ্যে বেতন হারের মধ্যে দারণ বৈষম্য রয়েছে। সমশিক্ষা ও সমযোগ্যতা সম্পন্না নারীকর্মী শ্রম বিনিয়োগ করে মাসান্তে পরযকামী অপেক্ষা নারীকমীরা অনেক, অনেক কম বেতন হাতে পান। বেন এই বৈষম্য ? এতে কি সমগ্র নারীজাতির প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা ও অবিচার প্রদর্শন করা হচেছ না ? সরকারের এই নারীর শ্রমশোষণ ও বৈষম্যমােলক নীতির বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যও আমরা আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নিচিছ। আর একটি দিকের প্রতি আপনাদের দটি আকর্ষণ করছি। আমরা জানি, পথিবীর অন্যান্য সব সভ্যদেশে নারী-শ্রমিকদের জন্য প্রসবকালীন সবেতন ছাটির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু আমাদের দেশের নারীকমীরা এই বিশেষ সংযোগ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে অর্থাভাবে প্রসতি ও সদ্যোজাত শিশী উভয়কেই উপযক্ত খাদ্যাভাবে অপটিরোগের শিকার হতে হয় । যারা শাসনের নামে আমাদের দেশে বলাগহীন অপশাসন চালাচেছ সেই দেবতাঙ্গ প্রভুদের দেশেও ত নারীকমীরা প্রসবকালীন সবেতন ছাটির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কেন ভারতবর্ষের নারীদের প্রতি এই নিলাজ বঞ্চনা আমরা এই বিশেষ দিকটির প্রতিও বহুবার সরকারের দটি আকষণ করেছি। আমাদের আবেদন-নিবেদনকে দারণভাবে অগ্নাহ্য করে সমগ্ন নারীজাতির প্রতি অবজ্ঞা ও অবহেলা প্রদৰ্শন করেছে, করেছে অন্যায় অবিচার। এমতাবস্থায় আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি, ইংরেজ সরকার আমাদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দিচেছ । আপনাদের কাছে নারী কল্যাণ-সমিতির পক্ষ থেকে আমি সনিবন্ধ অনুরোধ রাখছি, আপনারা আমাদের নারীজাগরণের সংগ্রামে সাখী হােন। এমনও হতে পারে হয়ত আমরা সেদিন এই পথিবীতে থাকব না। যেদিন অত্যাচারী দাভিক শেতাঙ্গু-গল্পকারের” অবসান ঘটবে, আমাদের বাঞ্ছিত সুবরাজ লাভ সম্ভব হবে। তবে এটাকু সাস্তবনা নিয়ে অন্তত: যেতে পারব। আগামীকাল আমাদের,
পাতা:আগামীকাল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৬
অবয়ব