পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র বন্যার জল যখন শুকিয়ে গেল, তখন চারিদিকে রোগ দেখা দিল। তার জন্য বন্যাস্থলে রিলিফ কমিটী সুযোগ্য ডাক্তার পাঠিয়ে দিলেন। নানা স্থানে চিকিৎসার কেন্দ্র খোলা হল । সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা হল । কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকী রইল। কৃষকদেরবাসের বাড়ী নির্ম্মাণ চলতে লাগল। তখন প্রশ্ন উঠল--এদের জীবিকা নির্বাহ হবে কি করে ? গরু ছাগল সব বন্যায় ভেসে গেছে, চাষের কোন উপায় নেই। শেষে বিলাতী লাঙ্গল (Tractor) দিয়ে অনেক জমি চাষ করিয়ে দেওয়া হল। এবারও আচার্য্য রায় দেখলেন যে বাংলার কৃষকসম্প্রদায় বৎসরের অৰ্দ্ধেক কেবল গল্প-গুজবে ও আলস্যে কাটায়। সেজন্য তিনি এই বন্যা-পীড়িতদের আহবান করে বললেন যে যদি তারা অবসর সময়ে চরকা কাটে, তবে তারা প্রতিদিন কিছু কিছু আয় করতে পারে। বিশেষতঃ বিধবা মেয়েরা ও নিষ্কর্ম্ম লোকেরা সহজেই চরকায় মন দিতে পারে । তিনি হিসাব করে বলেন যে যদি বাংলাদেশে লোক-সংখ্যা হয়। সাড়ে চার কোটী, আর এর মধ্যে দেড় কোটী নরনারী যদি চরকা কেটে মাত্র প্রতিদিন দু পয়সা উপায় করে, তবে মাসে তাদের সকলকার আয় দাড়ায় দেড় কোটি টাকা অর্থাৎ বৎসরে > 0SR