পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র আঠার কোটী টাকা। যদি শুধু চরকা কেটে এই আঠার কোটী টাকা বাংলার জাতীয়-ধানে রক্ষা করা যায়, তবে ত খুব আনন্দের কথা । আচার্য্য রায়ের উৎসাহে বন্যাস্থলে ঘরে ঘরে চরকা চলতে লাগল এবং সেই সূতায় যে খাদি প্রস্তুত হতে লাগল, তা বাজারে শীঘ্রই প্রসিদ্ধি লাভ করল। সেই বিক্রয়লব্ধ টাকায় নতুন তুলা কেনা হতে লাগল। এ সম্বন্ধে তিনি কোকিনদের নিখিল ভারত খন্দরপ্রদৰ্শনীর উদ্বোধনে বলেন- “কৃষিকার্য্যে কৃষক বৎসরে ৮ মাস কাল বা তদপেক্ষাও অল্প সময় ব্যয় করে-অবশিষ্ট সময় আলস্যে নষ্ট হয়। পুরুষদিগের সম্বন্ধে এই কথা । স্ত্রীলোকেরা বৎসরে সর্ব সময়েই চরকার সূতা কাটিতে কতকটা সময় ব্যয় করিতে পারেন এবং তা হাতেই সমগ্র পরিবারের বস্ত্রের অভাব দূর করা যায়। খুলনায় দুর্ভিক্ষে ও পূর্ববঙ্গে জলপ্লাবনে বিপন্ন জনগণের মধ্যে চরকা প্রচলিত করিয়া আমি বুঝিয়াছি, চরকা ব্যবহার করিলে এক বৎসরে অজন্মায় কৃষক অনাহারে সপরিবারে মৃত্যুমুখে পতিত হয় না। পূর্বোক্ত স্থান সমূহে চরকা চালন করিয়া কৃষকেরা যে ফল পাইয়াছে, তাহাতে চরকাকে তাহারা বিধাতার আশীৰ্বাদ বলিয়া বিবেচনা করে ।” Sav