পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র বিস্তৃত হয়ে পড়েছে যে, ভারতের নানাস্থান থেকে তঁর আহবান আসতে লাগল। তার যশঃ শুধু বাংলায় সীমাবদ্ধ রইল না, সেটা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ল। তাই বাংলার বাইরে থেকে তঁর নামে ডাক আসতে লাগল। গত ১৯১৯ সালে আসামের ছাত্রবৃন্দ তাকে আসাম ছাত্রমণ্ডলীর সভাপতি হবার জন্য আহবান করেন। সেখানে তিনি বলেন, “গত ত্রিশ বৎসর আমি শিক্ষকের পবিত্র কাজে ব্রতী আছি। এতকাল আমি বাংলার ছাত্রসমাজের মধ্যে বাস করে আসূছি, ছাত্রদের যা আনন্দ আমারও সেই আনন্দ, তাদের যা দুঃখ আমারও সেই দুঃখ। তাদের আশাভরসার, সুখ-দুঃখের আমি অংশীদার। তাই তোমরা ছাত্রবৃন্দ, যখন আমায় আহবান করলে, তখন আমি তোমাদের কথা না শুনে থাকতে পাবুলাম না। আমি ছাত্রবৰ্গে পরিবৃত হয়ে থাকি বলে, জরাবাৰ্দ্ধক্যেও শক্তিসামর্থ্যের উপচয় ভুলে যাই।” যখন ১৯২৪ সালে আচার্য্য রায় উৎকল প্রাদেশিক সম্মেলনের সভাপতি হয়ে গেলেন, তখন তিনি উৎকলবাসীদের তাদের প্রাচীন গৌরবের কথা, উদয়গিরি, খণ্ডগিরি, পুৱী, ভুবনেশ্বর ও কণারকের মন্দিরের কথা, তাদের প্রধান কবি নারায়ণ পণ্ডিত, হলধর দাস, উপেন্দ্র ভঞ্জ ΣΣ8