পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র তথা ভারতের ছাত্রসমাজের কাছে তিনি বরেণ্য, প্রণম্য। তাই আজ বাংলার এক প্রান্ত থেকে অপর.প্রান্ত পর্যন্ত সারা দেশে তিনি “দরিদ্রের বন্ধু”, “দীনের পালক” বলে’ পরিচিত। তাই আজ বাংলার আবালবৃদ্ধবনিতা তার সৌম্য ও প্রশান্ত মূর্ত্তি দর্শন করে” আপনাদিগকে ধন্য মনে করতে চায়, নিজেদের শ্রম সার্থক মনে করতে চায়। তঁর নতুন চিন্তাধারা বাংলার রক্ষণশীল সমাজে ধীরে ধীরে নবযুগের প্রবর্তন করুছ। তাঁরই উদ্দীপনার ফলে, তাঁরই উৎসাহে, তঁরই প্ররোচনায় আজ ছাত্রমহলে নতুন জাগরণের সাড়া পড়ে গেছে। বাংলার ছাত্রমহল আজ আর সেই পুরাতন মার্গে যেতে চায় না, গতানুগতিকের প্রবল স্রোতেও গা ভাসিয়ে দিতে চায় না, তারা চায় নতুন পথে নতুন আলোকের সাহায্যে নতুনের আবাহন করতে। বাংলাদেশময় এই যে নবীনের পূজার আয়োজন হচ্ছে, সেই মহাপূজার প্রধান পুরোহিত-আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র। তাই আমরা তাঁকে শ্রেষ্ঠ কর্ম্মী ও যুগপ্রবর্ত্তকরূপে দেখতে পাই। তাই তিনি স্বয়ং জগতের সামনে এক বিরাট আদর্শ খাড়া করেছেন, যার অনুকরণ করতে আজ সারা ছাত্রসমাজ ব্যাকুলভাবে ছুটে আসছে। তঁর চিন্তার নব ধারা, তার অভাবনীয় কর্ম্মশক্তি বাংলার ভাব রাজ্যে সত্য সত্যই এক So