পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র থেকে তঁর যে ছাত্রজীবন সুরু হয়েছে, তার এখনও শেষ হয় নি। এখন যদিও তিনি নানা কাজে ব্যস্ত, যদিও চরকা, খন্দর, রাজনীতি ও বেঙ্গল কেমিক্যাল তঁর অনেকটা মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, তা হলেও তিনি এখনও সেই আদর্শ ছাত্র। সারাজীবন তিনি ব্রহ্মচারীর মতন কাটাচ্ছেন, বিবাহ না করে তিনি আদর্শ গুরুরূপে ছাত্রসমাজের কাছে পূজিত। সেই জন্য একবার বিলাতের টাইমস্ কাগজ তীব্র সম্বন্ধে বলেছিল-সারাজীবন তিনি অবিবাহিত রয়েছেন, তিনিই পৃথিবীর কাজের মধ্যে প্রাচীন ভারতীয় গুরুর আদর্শ অনুভব করতে পেরেছেন। ছাত্র সমাজ তার কাছে যে আদর্শ পেয়েছে, সেজন্য কৃতজ্ঞ । জন্মকথা সে আজ ৬২ বছর আগের কথা-যখন দেশের হাওয়া, চিন্তার ধারা, দেশের অবস্থা একেবারে আলাদা ছিল, যখন গ্রামে গ্রামে জ্ঞান বিতরণের জন্যে স্কুল কলেজ খোলা হয় নি-বাংলার সেই যুগে আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্রের জন্ম হয়। যে খুলনা জেলা শ্রীমধুসূদন, কবি কৃষ্ণচন্দ্র, কবি দীনবন্ধুর প্রিয় জন্মভূমি বলে পরিচিত ও ধন্য-সেই খুলনা জেলাতেই আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র জন্ম গ্রহণ করেন। ছেলেবেলায় প্রফুল্লচন্দ্র সকলের কাছে “ফুলু” বলে । Sw)