পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র বলেছেন-“আমি এখনও নিজেকে ছাত্র বলে’ গণ্য করি । ঐ-জীবন ত্যাগ করে’ একদিনও অন্য জীবনে পদাৰ্পণ করেছি বলে মনে হয় না ।” এই কথাই আরও জোর করে” তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন :-“জ্ঞানের অনুশীলন আমি করে থাকি। আমি আজীবন ছাত্রভাবেই আছি। আমার শৈশব, কৈশোর, যৌবন কখন চলে গেছে বুঝতে পারি নি, আজ বাৰ্দ্ধক্যে পা দিয়ে আমি সেই ছাত্রই আছি। আমি দিনের মধ্যে দু’ঘণ্টা নিভৃতে ভাল পুস্তককে সঙ্গী করে” কাটিয়ে দি-দিন সার্থক হয়। জগতে যা কিছু সৎচিন্তা, উৎকৃষ্টভাব আছে, যাকিছু উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এবং মানুষের হৃদয়ে প্রেরণা দেয়। তার সবই পুস্তকে নিহিত।” দিন সার্থক করবার জন্যে তিনি যে দিনের মধ্যে দুঘণ্টা নিভৃতে ভাল বই সঙ্গী ক’রে কাটিয়ে দেন-তা খুব সত্য। যে কেউ তাঁর সঙ্গে বিকালে দেখা করতে গেছেন তিনিই ঊৰ্তার হাতে ২১ খানা বই দেখবেন। সেদিন দেখলুম তার হাতে বেলজিয়ান কবি মেটারলিঙ্কের একখানা বই আর ‘প্রবাসী৷” মাসিক-পত্রখানা। পিতার যে বিদ্যালয়ে প্রফুল্লচন্দ্রের প্রথম হাতে খড়ি হয়, তার কথা তিনি কখনও জীবনে ভুলেন নি, তাই SV2