পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র হাজার লোক কাজ করে।--আশ্চর্য্যের বিষয় তাদের মধ্যে কেউই কোম্পানীর উপর বিরক্ত নয়। কেন না, কোম্পানী থেকে তাদের সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের রীতিমত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কারখানার চারদিকে তাদের জন্যে বসতবাটী নির্ম্মাণ করা হয়েছে। যারা লেখাপড়া জানে না, তাদের শিক্ষার জন্যে “নৈশ বিদ্যালয়” আছে। যাতে কর্ম্মচারীরা সঞ্চয় করতে ও সমবায়ের মূল্য বুঝতে পারে, সেজন্য “সমবায় সমিতি”ও আছে। সকল কর্ম্মচারীই এই সমিতির সভ্য । এ কারখানা এখন বাঙালীর গৌরবস্থল হয়ে দাড়িয়েছে। যখন স্বদেশীর বন্যায় দেশ ভেসে গেছল, তখন দেখতে দেখতে দেশে অনেকগুলা কল কারখানা দেখা দেয়। কিন্তু ক’টি কালের প্রভাব সহ্য করতে পেরেছে ? একে একে অনেক কারবার, অনেক কারখানাই লোপ পেল। ইণ্ডিয়ান ষ্টোর্স, স্বদেশী ষ্টোর্স ত সেদিনের কথা । কিন্তু বেঙ্গল কেমিক্যালের সৃষ্টি স্বদেশী আন্দোলনের বহু পূৰ্বে-তবুও এখনও সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে আর বাঙালীর গৌরব বলে’ পরিচয় দিচ্ছে। এর মূলে কেবল স্যার প্রফুল্লচন্দ্রের প্রতিভা ও অধ্যবসায় । 80