পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ঘরের কাজ দিন রাত হয়-আর রোজ চার হাজার পাউণ্ড এসিড তৈরী হয়। এখানকার আবিষ্কারের মধ্যে দুটি জিনিষ খুব উল্লেখযোগ্য দেখলাম। একটি দেশী পাখ-এ পাখা বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্য না নিয়েই চলে । এবং নীচে যে কেরাসিনের বাতি আছে সেটি জেলে দিলেই পাখা ঘুরতে আরম্ভ করে এবং বেশ বাতাস হয় । সেই জন্যে মফঃস্বলে এর বেশী আদর-যেখানে বিদ্যুত পাওয়া কঠিন। আর একটি “ফায়ার কিং”-আগুন নিবাবার যন্ত্র এবং এর আবিষ্কারক বাঙালী। যুদ্ধের সময় গবর্ণমেণ্ট বাধ্য হয়ে বহু সংখ্যক “ফায়ার কিং” নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এখন অনেক কারখানায়, বায়স্কোপে এর প্রচলন Qሻማ ማig ! ১৯১৪ সালে যে জর্ম্মণ-যুদ্ধ আরম্ভ হয় তাতে বিদেশী রাসায়নিক মালের আমদানী কমে যায়, কারণ আগে একা জার্ম্মণীই পৃথিবীকে সবচেয়ে বেশী মাল দিচ্ছিল। তখন অভাবে পড়ে বেঙ্গল কেমিক্যালকে সেই সব জিনিষ ভারতে তৈরী করতে হল। তাই অনেকে বলেন যে যুদ্ধের সময় বেঙ্গল কেমিক্যাল না থাকলে ওষুধের বাজারের অবস্থা শোচনীয় হত । &#ତ