পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র কিরূপ উন্নতিসাধন করিয়াছিলেন তাহা জানিবার জন্য আমার মনে স্বতঃই অনুসন্ধান করিবার সম্পূহ জাগারুক হয়। এই নিমিত্তই আমি "চরক”, “সুশ্রাত’ প্রভৃতি আয়ুৰ্বেদ ও তন্ত্রশাস্ত্রের যে সকল প্রসিদ্ধ গ্রন্থ কালের কবলে অবলুপ্ত হয় নাই, তাহা লইয়া রাসায়নিকের দিক হইতে অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হই ।” এইবার রসায়নশাস্ত্রে গবেষণা ছেড়ে তিনি ইতিহাসের রাজ্যে উৎসাহের সঙ্গে গবেষণা আরম্ভ করলেন । এতে তঁর মন এত বেশী ঐতিহাসিক গবেষণায় মত্ত হয়ে পড়ল যে, তঁর ল্যাবরেটরীর কাজের ভয়ানক ক্ষতি হতে লাগল -কিন্তু তবু সে ক্ষতি স্বীকার করেও তিনি গবেষণায় ব্যস্ত রইলেন। তার পর এ ব্যাপারে তিনি কোথা থেকে কি রকমে সাহায্য পান সে কথা তিনি নিজেই বলেছেন“এই বিষয়ে অনুসন্ধান করিতে প্রায় একুশ বৎসর পূর্বে আমি মসিয়া বার্থেলোর সংশ্রবে। আসি । এই ঘটনা আমার ঐতিহাসিক রসায়নশাস্ত্র পাঠের পথনির্দেশক স্বরূপ । যিনি প্রতীচ্য জগতের রসায়নশাস্ত্রের কিরূপ উন্নতি * হইয়াছিল ও কোন স্থান হইতে তত্রত্য লোকেরা ঐ বিদ্যাশিক্ষা করিয়াছিল তাহা সৰ্বাপেক্ষা প্রকৃষ্ট রূপে নির্দেশ করিয়া যশস্বী হইয়াছেন, সেই তৎকালীন G8