পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র আমাদের কতটা জাতীয় অধঃপতন ঘটেছে। সেই জন্য ঐ কথার প্রতিবাদ করে’। আমি এ বইখানা লিখি ” বঙ্কিমচন্দ্রের সেই কথার প্রতিবাদ করে” তিনি বলেন :-“এখন বিবেচনার বিষয় এই যে, আজ বর্তমান জগতের ভীষণ জীবন সংঘর্ষের দিনে আপনাদের জাতীয় অস্তিত্ব বজায় রাখিতে হইলে রঘুনন্দন ও কুল্লুকভট্টের টোলে প্রবেশ লাভ করিয়া পুনরায় ন্যায় ও সাংখ্যের গবেষণায় নিযুক্ত হইতে হইবে, কি বিংশ শতাব্দীর জ্ঞান ও প্রতিভার রশ্মি লক্ষ্য করিয়া ধাবিত হইতে হইবে ? আমরা আজ কালবারিধি তীরে দাড়াইয়া শুধু কি উত্তাল তরঙ্গমালা গণিয়া হতাশ মনে গৃহে ফিরিব ? অথবা নিরাশার তীব্র দংশনের ক্ষোভ মিটাইবার নিমিত্ত ভাবিব, -বর্ত্তমান জগতের শিক্ষা ও দীক্ষা ভ্রান্তিমূলক, উহা মানবহৃদয়ে জ্বালাময়ী তৃষ্ণা জনন করিয়া সুখ, শান্তি ও আধ্যাত্মিক চিন্তাশীলতার পথ কণ্টক সমাকীর্ণ করে ?” সেই প্রাচীন সংস্কারের বশীভূত হয়ে, বর্ত্তমান জগত থেকে অনেক দূরে ছিলাম বলে আজ আমাদের এত অধঃপতন । সেই কথাই তিনি বলেছেন ঃ-“স্বাধীন চিন্তু জাতীয় জীবনানদের উৎস। এই উৎস যে দিন হইতে শুকাইতে আরম্ভ করিয়াছে, সেই দিন হইতে মৌলিকতা ዓቅ..