পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র ও অনুসন্ধিৎসা তিরোহিত হইয়াছে, সেই দিন হইতে বাঙ্গালী জাতির অধোগতির সূত্রপাত হইয়াছে। আজ সহস্ৰ বৎসর কাল এই স্বাধীন চিন্তার স্রোত আলস্য এবং অন্ধবিশ্বাসরূপ গভীর কৰ্দমে আবদ্ধ হইয়া জাতীয় জীবনের প্রস্রবণকে রুদ্ধ করিয়াছে।’ ইতিহাস আলোচনা করে আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র প্রমাণ করেছেন যে চিরকাল বাঙালী এমন কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল না-বরং তাহদের একটা গৌরবময় অতীত ছিল। তাই তিনি বলেছেন-“ভারত যে শাস্ত্রবাদগ্রস্ত হইয়া চিরকাল কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিল, এমন নহে। প্রাচীন ভারতে অনুসন্ধিৎসা বৃত্তি যথেষ্টই বলবতী ছিল এবং স্বাধীন চিন্তার স্রোত অপ্রতিহতভাবে প্রবাহিত হইয়াছিল।” হিন্দুসমাজ তার মস্তিষ্কের অপব্যবহার তখনই ক’রল, যখন জগতের উন্নতির ধারার সঙ্গে কোনও সংস্পৰ্শ না রেখে, স্বাধীন চিন্তাকে বিসৰ্জন দিয়ে কেবলমাত্র কতকগুলি সংস্কার মেনে চলতে লাগল। বৌদ্ধধর্ম্মের পতনের পর যে নতুন হিন্দুধর্ম্ম দেখা দিল-তাই থেকেই হিন্দুর পতন আরম্ভ হল। কেন না-“বস্তুতঃ ব্রাহ্মণ্য আধিপত্য কুসংস্কারের এক অতি বৃহৎ অধ্যায়। অনুসন্ধান প্রবৃত্তি এক প্রকার লুপ্তপ্রায় হইল। যাহা কিছু বৈজ্ঞানিক আভাস জাতীয় १७