পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র বিস্তার করলেন-তখন বাঙালী সেখানেও গেল চাকরী করতে, আর মাড়োয়ারী, বোম্বেওয়ালা প্রভৃতি গেলেন ব্যবসা করতে। ডিগ্রী থাকলে চাকরীর বড় সুবিধা হত, তাই তখন ডিগ্রীর একটা অকৃত্রিম মূল্য হয়েছিল। আর সেই কারণেই শিক্ষিত বাঙালীর চাকরীই একধ্যান একজ্ঞান হয়ে উঠল। কিন্তু এখন শিক্ষিতের সংখ্যা অনেকগুণ বেড়ে গেছে। এত চাকরী জুটবে কোথা থেকে ? অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে ব্যবহারের সামঞ্জস্য করতে না পারলে ঘটনাচক্রের পোষণে মরতে হবে। আমাদেরই। সুতরাং চাকরীর পথ ছেড়ে অন্যপথ ধরতে হবে।” তাই যারা আইন পড়তে চায়, তাদের তিনি উৎসাহ দেন না । তঁর পরিচিত ছাত্রের মধ্যে কেউ আইন পড়ছে শুনলে, তিনি ভারি রাগ করেন। তিনি বলেছেন-“আবার না গেলে মহা অপরাধ হবে, আর জিজ্ঞাসা করলে বলেন-“পাশটা করে রাখি।” আজকাল জেলার সদরে বা মহকুমায় উকীলরা কি রোজগার করেন, তঁদের কয়জন অন্ন পান এবং কয়জন গাছতলায় কেরাসিনের বাক্সের উপর বসে দিন কাটান-এরূপ কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে বিজ্ঞ ব্যক্তি উত্তরটা কানে কানে দেবেন-কারণ সেটা cy