পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র এই ছোঁয়াছুয়ি ব্যাপারটাকে-বিধিসঙ্গত ও বিজ্ঞানসম্মত বলে প্রমাণ না করে ছাড়ছি না।” তাই তিনি রক্ষণশীল হিন্দু সমাজকে বলছেন—“এখন আমরা সভ্যজগতে সকল জাতির সঙ্গে এক আসরে বসতে bाई ; পৃথিবীর Sistics (League of Nations) gir পেতে চাই । কিন্তু অন্যে আমাদের কি চক্ষে দেখে আজি তা তোমাদের ভেবে দেখতে হবে। বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশ্চন্দ্র আমেরিকা প্রভৃতি প্রদেশে ভারতবর্ষের যোগ্য প্রতিনিধি বলে পরিচয় দিয়ে এসেছেন। কিন্তু সে আরম্ভ মাত্র-কোকিলের প্রথম গান বসন্তের আগমনবার্ত্তা ঘোষণা করে মাত্র। দারিদ্র্য ও সামাজিক অত্যাচার প্রভৃতি নানা দোষের জন্য আজও আমরা অন্য জাতির অশ্রদ্ধার পাত্র হয়ে আছি। আমাদের অন্তর সমৃদ্ধ হয়ে অদূর ভবিষ্যতে নানাকর্ম্মে বৈচিত্র্যে বিকাশলাভ করবে না কি ? আমায়া বিলাতী বিস্কুট খাবো, বরফ দিয়ে সোডা লেমনেড খাবো, কিন্তু জাতিবিশেষের কেউ যদি হাতে করে এক গ্লাস জল দেয় অথবা আমাদের চৌকাঠ মাড়ায় তাহলে অমনি চীৎকার-“জাত গেল, হাঁড়ি ফেল, স্নান কর।” অদ্ভুত ব্যাপার! তারই ফলে আমরা ব্রাহ্মণ শূদ্র মিলে সকল জাতিটাই বিদেশের অগ্রসর জাতিদের কাছে হেয় অস্পৃশ্য bሦ8