পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ অঁাচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী আলাপের সূত্রপাত হল। আমি ইংরেজীতে কথা বললাম। তিনি বললেন “নেই সমঝেতে” ইংরেজী তিনি জানেন না । বোম্বাইএ র্তার টুপীর দোকান-টুপী আমদানী করেন জার্শ্বনী, ইটালী প্রভৃতি স্থান থেকে। কথাবার্ত্তায় বুঝলাম যুরোপে যখনই যে বন্দরে নেমে ছিলেন তখন, র্যাদের এজেণ্ট তিনি–র্তাদের লোক আপনি এসে তাকে আগ বাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ভাঙ্গা হিন্দীতে কথা বলে কার্য্যনির্ব্বাহ করেছে— কারণ গরজ তাদের। মস্ত বড় ব্যবসায়ী—তাই এত খাতির—যুরোপের লোক হিন্দীতে কথা বলে ! বাঙলা দেশে এমন কোথাও আছে কি ? বাঙালী যে ব্যবসায়-বাণিজ্যে পশ্চাৎপদ তার অন্য কারণও আছে । আমাদের সুজলা সুফল বাঙলা দেশ-তারপর আবার আমাদের ছেলের পার্থার ডাকে ঘুমোয় আর পার্থীর ডাকে উঠে। বাঙলার স্যাংস্তেতে হাওয়ার জন্তে মেকলে বলেছিলেন এদেশে ভাঁপর তাপের (Vapour bath) মধ্যে থাকতে হয়। দেশের হাওয়ার দোষ । মিঃ চার্চিল—এখন যিনি একজন প্রধান রাজমন্ত্রী, র্তার পিতা ভারতসচিব ছিলেন । ভারত ভ্রমণ করে তিনি বলেছিলেন—এদেশে মানুষগুলে! *gs TE VA wit E-Lulled by the languor of the land of lotus—উলিসিসের বর্ণিত কমলবিলাসী দেশের ঘুমপাড়ানী হাওয়ায় এলিয়ে পড়ে। আমাদের দৌড়ানতে হাট, হাটায় বসা, বসায় শোওয়া, আর শোওয়ায় ঘুমোনে । বাঙলা উর্বরা—একটু চষে বীজ ছড়িয়ে দিলেই অস্কুরোদগম হয়। এই নদীমাতৃক দেশে আবালবৃদ্ধবনিতাকে নরেীত্রে পুড়তে পুড়তে শস্য উৎপাদন করতে হয় না । তারপর ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের ফলে যখন দেশের ভয়ানক দুর্দশ হ’ল, লোকাভাব হ’ল, জমি বিনা-আবাদে পতিত রইল, তখন নানাবিধ অসুবিধা দেখে লর্ড কর্ণওয়ালিস বললেন-রাজস্বের পরিমাণ বাধাধরা হোক ।