পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী ছেলেরা সবাই দেশে যায়। আমিও আমার দেশে যাই । দেশে গিয়ে দেখি ছুটি পেয়ে ছেলেরা এলিয়ে পড়ে। রাত্রে ৮১ ঘণ্টা ঘুম দেবার পর আবার মধ্যাহ্নে বারোটা থেকে তিনটা পর্য্যস্ত নিদ্র । আর বাকী সময়টা তাসপাশা ও আড়ায় কেটে যায় । অলস হলে লক্ষ্মীছাড় হতে হয় । এই নিদ্রা ও চপলতায় যে সময়ট নষ্ট হয় সেই সময়টার সদ্ব্যবহার করিবার দায়িত্ববোধ জন্মান দরকার । নিদ্র ও আলস্য ত্যাগ ক’রে ছাত্রের দেশের নানাস্থান দেখে শুনে সময়ট কাজে লাগাতে পারে । এরূপে দেশের সকল স্থান ও সকল প্রকার লোকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয় লাভ হয়। আর কোথায় কি ভাবে কত বিভিন্ন প্রকার দ্রব্য উৎপন্ন হয় এবং কত লোকের হাত দিয়ে কত প্রকারে ঐসকল উৎপন্ন দ্রব্য নানাস্থানে চলে যায় তার সন্ধান পাওয়া যায়। বেশ স্থনিপুণভাবে এই সকলের সংবাদ রাখলে অনেক অভিজ্ঞতা লাভ হবে এবং চাকরী ছাড় নান্তঃপস্থা এই ভ্রম ঘুচে গিয়ে অন্নসংস্থানের অনেক নূতন পথ চোখের স্বমুখে খুলে যাবে। এই সব অনুসন্ধানের ফলে দেশের কোথায় কোন বিদেশী বণিক টাকা দাদন দিয়ে উৎপন্ন দ্রব্য কৌশলে আপন হাতে এনে ফেলচেন তারও যথার্থ খবর নিশ্চয়ই আসবে। আমার অনেক ছাত্র রসায়ন-শাস্ত্রে এমএ, বা এম্-এসসি পাশ করেছেন । তাদের মধ্যে চার পাচ জনে মিলে চক্রবত্তী চাটজি কোম্পানী নাম দিয়ে একখানা পুস্তকের দোকান খুলেছেন । সে দোকান আজ বেশ চলেছে। এর কয়েক শত টাকা মাত্র মূলধন নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করেন। এরা বাধা কি পাচ্ছেন না ? খুবই পাচ্ছেন। কিন্তু এদের জিদ আছে—প্রতিজ্ঞ খুব দৃঢ়। এরা বলেন, “আমরা কৃতকার্য্য হবই হব।” তাই আজ শুধু বই নয় অন্যান্য অনেক বিষয়ে এদের লোক নূতন নূতন ব্যবসার পত্তন করছেন। এ সকল স্বপ্নের