পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮• আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী যদি বলা যায়—“তোমায় ৫০ মাহিনী দেব আর সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্য্যন্ত খাটতে হবে”—সে একেবারে মহাখুলী হয়ে যায়। ঘড়ি ধ’রে ১২ ঘণ্টা কলের মত কাজ ক’রে যায়। কিন্তু এম্নি ক’রে চাক্রকে অঁাকড়ে না ধ’রে যদি সে প্রথম কয়টা বংসর কোন ইংরেজ মাড়োয়ারী বা বাঙালীর দোকানে শিক্ষানবিশী করে এবং বাজার ঘুরে নানা তথ্য সংগ্রহ করে তবে ভবিষ্যতে সে ব্যবসায় ক্ষেত্রে বেশ কাজের লোক হয়ে দাড়ায়। প্রথম প্রথম পয়সা-কড়ি হয়ত আসবে না, কিন্তু বি-এ বা এম-এ ও তৎপরে বি-এল পাশ করতে যে ৬-৭ বৎসর সময় লাগে সে সময়েও ত ছেলে বাড়ীর খায় আর বাড়ীর টাকা খরচ ক’রে পড়াশোনা . করে । এখন ডিগ্রির প্রভাবে যখন অতি সামান্য চাকরী ছাড়া আর কিছু মেলে না তখন ম্যাটিকুলেশনের পর বাড়ীর খেয়ে ছেলে ত ২৩ বৎসর ইউনিভারসিটিতে না হোক কলকাতার ক্যানিং ষ্ট্রীট, ক্লাইভ ষ্ট্রট, বড়বাজার প্রভৃতি স্থানে একটা নূতন শিক্ষা লাভ করতে পারে। তবে এই শিক্ষা পাবার সুবিধা করতে হ’লে কোনো দোকানে শিক্ষানবীশ হয়ে প্রবেশ করতে হয়। এইরূপ প্রবেশলাভের সুবিধার জন্যে নানাভাবে চেষ্ট করা উচিত। ভবিষ্যতে এসব চেষ্টার সার্থকতা আছেই। আমরা একে ত মিলেমিশে কোন কাজ করতে পারি না, তার উপর আমাদের অনেকে প্রথম উদ্যমে ব্যবসায়ে প্রবেশ ক’রে অল্পদিনের মধ্যে সফলতা লাভের জন্য অধীর হয়ে উঠেন। আর যদি প্রথমে কিছু লোকসান হয় ত আমনি ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে হ৷ চাকরী হ চাকরী ক’রে বেড়াল ! কিন্তু স্থিরভাবে লেগে থাকতে না পারলে ব্যবসায় ক্ষেত্রে সফলতা লাভের আশা দুরাশা মাত্র । তারা বোঝেন না যে লোকসান দিয়ে তারা বরং দক্ষ হলেন। আসল মাঝি সেই, যে পদ্মা পার হয়েছে, মাথার উপর দিয়ে যার অনেক ঝড়ঝাপ্ট গেছে। ঝড়ঝাপ্ট না