পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্ততাবলী মোরের কাজ কুমোরকে সঁপিয়া দিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া ইংরেজ আমলে বস্তাচৰ্চায় FiffStrid cofaffs i str[si senior, junior scholar হইলাম। এখন প্রথম প্রথম বি-এ পাশ করিলাম সাত গায়ের লোক ছুটিয়া আসিল আমাদের দেখিতে। আর যদি এম-এ পাশ করিলাম তো হইয়া পড়িলাম ছোট-খাট এক দেবতা । এই করিয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা যাহার। ব দেশে এবং সব জাতির সর্ববিধ উন্নতির মূল তাহারা ইংরেজী ডিগ্রির নকট দাসখত লিখিয়া দিয়াছেন । আর বোম্বাই অঞ্চলে লোকে ব্যবসাবাণিজ্যে লাগিয়া গেঠু, ওদেরও যে প্রথমবারেই সফলতা হইল,ত নয়। প্রথম প্রথম লোকসান দিয়া যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হইল তারই ফলে আজ ওরা এত উন্নত। দিনশা ওয়াচার প্রণীত সার জমশেদজি তাতার জীবন-চরিত পাঠ করিলে জানা যায় যে, ব্যবসা বাণিজ্য অমনি ধরিলেই হয় না। কত যে একাগ্র সাধনার প্রয়োজন ত এই সমস্ত ধনকুবেরদের জীবন শিক্ষা দেয় । & আজকাল আমাদের দেশে চায়ের ব্যবসায় খুব লাভজনক। কিন্তু এই ব্যবসায়ের ইতিহাস পাঠ করিলে জানা যায় সমগ্র সভ্যজগৎ ও জীবন হইতে দূরে একাস্তে যখন দলে দলে শ্বেতাঙ্গ চা-করেরা (planter) গিয়া আবাদ আরম্ভ করিল তখন শতকরা কতজন কালাজ্বর ম্যালেরিয়াতে মারা গেল ; ও অঞ্চলে গেলে কতশত ইংরেজের কবর দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু উদ্যম,ওদের এত অল্প বাধাতেই নষ্ট হয় না । তারা কুইনাইন ধাইয়। মশা তাড়াইবার জন্য বাড়ীঘর লোহার জাল দিয়া ঘিরিয়া কাজ স্থরু করিল। সেই লর্ড ডালহৌসির সময় হইতে চেষ্টা করিয়া আজ এতদিনে এর মুফল ফলিয়াছে। ইহার ফলভোগ করিবার তাদের নিশ্চয়ই একটা দাবী দাড়াইয়াছে। এইরূপে নিয়তই বিরুদ্ধপ্রকৃতির ও প্রতিকুল বাধার সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া ইংরেজ লক্ষ্মীকে অঙ্কশায়িনী করিয়াছে।