পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী

একবার লাগিয়া যায় তখন পশ্চিমে আনিবে ধান কাটাইবার ও মলাইবার জন্ত । নিজের আর কিছুই করিবে না। তারা কি এতই ধী ? গিরিডি অঞ্চলে দেখিয়াছি নেহাৎ যখন ক্ষুধার তাড়না অসহ্য হইয়া উঠে তখন দেশী সাওতালরা কাজ করে । অন্ত সময়, কাজ করে না কেন জিজ্ঞাসা করিলে উত্তর দেয় “কাজ কর্ব কেন ?” উপোস করতে কি জানি না ?” তারপর কলিকাতা সহরে কত ছুতোর মিস্ত্রি কাজ পাইতে পারে, কিন্তু চীনে আসিয়া" অধিকার করিয়াছে। কেন না, দেশী মিস্ত্রির চোখের আড়াল হলেই ফাকি দিবে। তাদের উপর কোন কাজ দিয়া নির্ভর করা যায় না। কিন্তু একজন চীনে মিস্ত্রি কি প্রাণপাত করিয়া পরিশ্রম করে । পূর্ব্বে চীনেপটির খানিকটায় চীনের থাকিত । এখন বেণ্টিঙ্ক ষ্ট্রীটু অঞ্চল ছাইয়া ফেলিয়াছে। কেন ? এ দেশে কি মুচি পাওয়া যায় না ? নিম্নশ্রেণী ও মধ্যবিত্ত শ্রণী আমাদের সকলেরই মধ্যে অকর্ম্মণ্যতা ও কুড়েমি। এই করিয়া দেশের প্রায় সকল বিভাগই বিদেশী দ্বারা বিজিত হইতেছে। কলিকাতা পটারী ওয়ার্কসের নিকট দু’এক বছর আগে একজন চীন মিস্ত্রির সামান্ত একখানি দোকান দেখিয়াছি, কিন্তু অধ্যবসায় ও সততা দ্বারা এখন সে দোকান একটি বিপ্লাট কারবারে পরিণত হইয়াছে। অতএব এখন আমাদের কি করা কর্ত্তব্য ? সহযোগ-বর্জন আন্দোলন দেশের একটি কল্যাণকরিয়াছে। দেশের লোকের দৃষ্টি অস্তমুখী হইয়াছে। দৈশের মা-বাপের বুঝিয়াছেন, চলতি রকম লেখাপড়ার অসারতা। এতদিন এই শিক্ষা ছেলেকে দিবার জন্য হইতে হইয়াছে খরচাস্ত। ছেলে গ্রাজুয়েট হইয়| কি পরিমাণ অর্থ রোজগার লরিতেছেন তাহা তো আমরা সকলেই দেখিতে পাইতেছি। পাঠ্যাবস্থা কাটে ভাল। কিন্তু অনেকের