পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিভেদ S8 a প্রতিনিধি বাগিয়ে নিচ্ছেন। এই সকল মতামতের ভালমন্দ আলোচনা করবার জন্য আমি একটা কথাও বলছি না। আমি বলতে চাই এই tয এদিকেও আমাদের সামাজিক সঙ্কীর্ণতা ও পাপের প্রায়শ্চিত্ত হচ্ছে । যে অধিকারটুকু ইংরেজ আমাদের দিতে চায় আমাদেরই দেশবাসী আজ তাতে আপত্তি তুলছে,—কেন না আমরা অনেক কাল ধ’রে তাদের ঘৃণা করেছি এবং এখনও করছি ; তাই তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাদের উপর বিশ্বাস হারিয়েছে । . . জাতির গঠন ও বিকাশে এই জাতিভেদ অনেক পরিমাণে বাধা দিয়েছে। পরস্পরের মধ্যে বিবাহের আদানপ্রদান নেই ; তার উপর “ছুয়োন ছুয়োন” এই রব করতে করতে সকলেই এক-একটা গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। হিন্দুমুসলমান ত বরাবরই আলাদা হয়ে আছে ।" এ অবস্থায় কবি ভাবের আবেগে ব’লে থাকৃতে পারেন “একবার তোরা জাতিভেদ ভুলে’ ইত্যাদি। কিন্তু এতদিনের বন্ধন এককথায় খসে পড়বে কি ? আমার লিখিত “হিন্দু রসায়নশাস্ত্রের #footh” (History of Hindu Chemistry) Rio dozo “বিজ্ঞান ও শিল্পের অবনতি” (Decline of Science) শীর্ষক অধ্যায়ে আমি জাতি সম্বন্ধে কয়েকটা কথা বলেছি। চরক ও সুশ্রুত দেশীয় চিকিৎসা প্রণালীর দুখানি মহাগ্রন্থ । এতে অবস্থা-বিশেষে এমন কি গোমাংস খাবারও কথা আছে । মুশ্রুতে শবব্যবচ্ছেদের রীতিমত, ব্যবস্থা ছিল; কিন্তু মহু মহাশয় বলেন শবষ্পর্শ হ’লে জাতিচু্যত হ’তে হবে। সুতরাং ব্যবস্থা হয়ে গেল শবব্যবচ্ছেদের স্থানে অতঃপর লাউ ব্যবচ্ছেদ হবে ; অর্থাৎ লাউ কেটে মহন্ত-শরীরের শিরা-উপশিরা প্রভৃতির সংস্থান জানতে হবে । ব্যবস্থাটা কতকটা সেই কলাগাছ বিয়ে করবার মত নয় কি ? জাতিচু্যতির ভয় দেখিয়ে এমনি ক’রে