و البرلا করেন। প্রফুল্লচন্দ্র কলিকাতায় ফিরিয়া তাহার এই আকৃত্রিম স্বহৃদের গৃহে প্রায় এক বৎসর কাল অতিবাহিত "করিয়াছিলেন। এখানে বস্তুপত্নীর নিকট অনুজোচিত স্নেহ লাভ করিয়া তাহার ক্লাস্ত দেহ স্বস্থ ও ক্ষুব্ধ চিত্ত শান্ত হইল । - ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দের গ্রীষ্মাবকাশের পর কলেজ খুলিলেই প্রফুল্লচন্দ্র প্রেসিড়েন্সি কলেজের বিজ্ঞানাগারে প্রবেশ করিয়া সেই যে টেষ্ট টিউবকে (test tube) সাদরে বরণ করিয়া লইলেন, তাহার জীবনের আৰ্দ্ধ শতাব্দী অতীত হইয়া গিয়াছে, তবুও তিনি তাহার সহিত সম্বন্ধ অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছেন । তিনি সেন্ধিলও , বলিয়াছেনবিজ্ঞানাগারই আমার শাস্তি ও কর্মের স্থল ; সৈখানে টেষ্ট টিউবএর সহিত আলাপে আমি আমার বাৰ্দ্ধক্য ভুলিয়া যাই,—৩৩ বৎসর, এক শতাব্দীর এক তৃতীয়াংশ কাল বিজ্ঞানাগারেব সীমানার মধ্যে আবদ্ধ থাকিয়া বাহ জগতের সহিত সকল সম্বন্ধচু্যত হইয়। পড়িয়াছি।’ * * প্রফুল্লচন্দ্রের আজীবন সাধনার ফল, র্তাহার বিশ্ববিখ্যাত আবিক্রিয়া, বেঙ্গল কেমিক্যাল ও ফারমাসিউটিক্যাল ওয়ার্কসের প্রতিষ্ঠা ও হিন্দু রসায়নশাস্ত্রের ইতিহাস-সঙ্কলন প্রেসিডেন্সি কলেজের বিজ্ঞানাগারেই সম্ভাবিত হইয়াছিল । ‘s’ প্রফুল্লচন্দ্র যখন প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রবেশ করেন তখন এদেশে বিজ্ঞানশিক্ষার অবস্থা অতি শোচনীয় ছিল। পরীক্ষাপাশের উদ্দেপ্ত ভিন্ন অন্ত রেমন অভিপ্রায়ে কেহ বিজ্ঞানচর্চা করিতে ইচ্ছা করিত না । পরীক্ষাপাশের সুবিধা হইবে মনে করিয়া যাহারা পদার্থবিজ্ঞান বা রসায়নশাস্ত্র পাঠ করিত, পরীক্ষাপাশের সঙ্গে সঙ্গে তাহারা উহা বিশ্বত হইতে আরম্ভ করিত। এই সময়ে যাহার এম, এ পরীক্ষায় প্রথম (२)